মানি লন্ডারিং মামলায় জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড
জি কে শামীম

জি কে শামীমের জামিন গুঞ্জন, রাষ্ট্রপক্ষ বলছে ‘জানে না’

যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমের অস্ত্র মামলায় ছয় মাসের জামিন হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। হাইকোর্ট থেকে তার জামিন হয়েছে মর্মে শনিবার দিনভর চলছে আলোচনা। তবে সত্যিকার জামিন হয়েছে কিনা আর তিনি যুবলীগ নেতা শামীম কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এদিকে হাইকোর্টে জি কে শামীমের জামিন হয়েছে মর্মে যে খবর প্রকাশ পেয়েছে, এ বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান (এফ আর খান)।

তিনি বলেন, যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জি কে শামীমের জামিন হয়েছে কিনা, আজ রোববার খোঁজ-খবর নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে আরও কয়েকবার জি কে শামীম জামিন আবেদন করলে তা কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন আদালত। কিন্তু জামিন হয়েছে কিনা বিষয়টি জানা নেই।

এদিকে গুঞ্জন উঠেছে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের আগাম জামিন নেন জি কে শামীম। তার জামিনের লিখিত আদেশ প্রকাশিত হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুর রহমান খান মুঠোফোনে বলেন, জি কে শামীম অন্য মামলা নিয়ে গিয়েছিল, ক্যাসিনো এবং আরও কিছু মামলা ছিল। কিন্তু অস্ত্র মামলার কথা আমার জানা নেই। আমি কোর্টে থাকি সারাদিন। আমার জানামতে জি কে শামীমের কোনো মামলার জামিন হয়নি। এটা আমার দেখতে হবে। আজ (রোববার) পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করেন।

জামিনের কাগজ পাওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে একটু কনফার্ম হতে হবে। জজ সাহেব নিজের মতো করে দিয়েছেন কিনা, সেটা আমার দেখতে হবে। ক্যাসিনোর কেসগুলো আমরা অপোজ করি বেশি করে। এখানে ভুয়া জামিনও তো বহু হয়েছে। আমি নিজে ধরেছি। জি কে শামীমের মামলার শুনানির সময় এই কথা ওঠেইনি যে জামিন হবে। এখন যদি জি কে শামীমের জায়গায় অন্য শামীম হয়, হইতে পারে। আমার তো কোর্টে গিয়ে কনফার্ম হতে হবে।

রাজধানীর নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়। বর্তমানে তিন মামলার রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।