অবশিষ্ট ৮ জেলার অধস্তন আদালতে মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ
আইন মন্ত্রণালয়

মানবপাচার অপরাধের দ্রুত ‍বিচারে ৭ ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ

মানব পাচার বিষয়ক অপরাধের দ্রুত ‍বিচারের জন্য সাত বিভাগে গঠিত মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে জেলা জজ পদমর্যাদার সাতজন বিচারককে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে রোববার (৮ মার্চ) রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও বরিশালে গঠিত এ সব ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ দিয়ে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. লিয়াকত আলী মোল্লাকে রাজশাহী, কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) এম এ আউয়ালকে খুলনা, কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা জজ) মো. নূর ইসলামকে রংপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মো. সাইফুর রহমানকে সিলেটের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা জজ) জান্নাতুল ফেরদৌস চট্টগ্রাম, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) কাজী আবদুল হান্নান ঢাকায় এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মো. মঞ্জুরুল হোসেন বরিশালের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

অপরদিকে, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এস এম জিয়াউর রহমানকে চাঁদপুরের জেলা জজ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

গত ৪ মার্চ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মানবপাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয় টায়ারে আছে, আমরা যদি মানবপাচার প্রতিরোধে সাতটি আদালত তাড়াতাড়ি স্থাপন না করি তাহলে আমাদের তৃতীয় টায়ারে নামিয়ে দেয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাতটি মানব পাচার প্রতিরোধে সাতটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করছি।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আপনাদের আমি জানাতে চাই, খুব শিগগিরই আগামী ৭ দিনের মধ্যে এটার কাজ শুরু করব। এটা দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’