বিচারপতি জিনাত আরা

অবসরে যাচ্ছেন আপিল বিভাগের দ্বিতীয় নারী বিচারপতি

৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসরে যাচ্ছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানাবে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস। যদিও ১৪ মার্চ তার কর্মজীবনের শেষ দিন, কিন্তু ওই সময়ে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় আজই (বৃহস্পতিবার) তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে।

বিচারপতি জিনাত আরা উচ্চ আদালতের তৃতীয় এবং আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া দ্বিতীয় নারী বিচারপতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল অব হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুল ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট কোর্স করেন। বিচারপতি জিনাত আরা বিএসসি ও আইন পাস করে ১৯৭৮ সালে মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে জেলা ও দায়রা জজ হন। ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি। এরপর ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ পান।

বিচারপতি জিনাত আরা কর্মজীবনে আন্তর্জাতিক সেমিনার ও ট্রেনিংয়ের জন্য বেইজিং, সাংহাই, আমেরিকা, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ভারত, পাকিস্তান, পানামা, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড সফর করেন।

এর আগে প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন নাজমুন আরা সুলতানা। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৭৫ সালের ২০ ডিসেম্বর মুন্সেফ নিয়োগ পান। আর এতেই হয়ে যান ইতিহাসের অংশ। দেশ ও বিচার বিভাগের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী বিচারক।

১৯৯১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা জজের আসনে উন্নীত করে। আর এটাও প্রথম কোনো নারীর জেলা জজ হওয়ার ঘটনা।

২০০০ সালের ২৮ মে তিনি হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্টে স্থায়ী হন তিনি। আবার হাইকোর্টেও তিনি প্রথম। সবশেষ ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। পরে তিনি ২০১৭ সালে অবসরে যান।