মুহঃ মাসুদুজজামান, সিনিয়র সহকারী জজ, পাবনা

আইনের এই সাধারণ বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার ভাইয়ের না জানা না মানা সত্যিই বিস্ময়কর!

মুহঃ মাসুদুজ্জামান:

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম ভাই আমার দীর্ঘদিনের চেনা মুখ। সরোয়ার ভাইকে আমি মন থেকে শ্রদ্ধা করি তাঁর সাহসী ম্যাজিস্ট্রেসির জন্য। ভেজাল ও দূর্নীতি বিরোধী অভিযানে তিনি এক জননায়ক।

কিন্তু আমরা সকল ম্যাজিস্ট্রেট( নির্বাহী/ জুডিসিয়াল) আইন দ্বারা পরিচালিত হই। শিশু আইন- ২০১৩ অনুসারে শিশুদের বিচার করার এখতিয়ার একমাত্র শিশু আদালতের- আইনের এই সাধারণ বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার ভাই এর না জানা বা না মানা সত্যিই বিস্ময়কর!

আমি প্রায়ই বলি মোবাইল কোর্ট এই যে এত অভিযান পরিচালনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা করে তাও অপরাধীরা ভয় না পেয়ে একই অপরাধ তথা খাদ্য পণ্যে ভেজাল দূর্নীতি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে কারণ কী? কারণ অপরাধীদের হাতে নাতে ধৃত করেও কারাদণ্ড না দিয়ে শুধুমাত্র জরিমানা করায় তারা ভয় পাচ্ছেনা। তাই বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অনুরোধ করছি- রাষ্ট্রের অভ্যাসগত বড় অপরাধীদের দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে ২ বছর কারাদণ্ড দিন অথবা তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করুন বিশেষ ক্ষমতা আইনে!

বে এটা ঠিক- বিচার বিভাগের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও অন্যান্য বিজ্ঞ বিচারকগণকে আরো বেশী প্রোএকটিভ, সজাগ ও সমাজ সচেতন থাকতে হবে যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে রাষ্ট্রের ক্রিমিনালরা ও দূর্নীতিবাজরা বের হয়ে যেতে না পারে! সময় এসেছে বিজ্ঞ বিচারকগণকে আইনের খেলায় আম্পায়ার/ রেফারী হয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কখনো কখনো ন্যায় ও সত্যের প্রতিষ্ঠায় এবং রাষ্ট্রের জণগণের অধিকার রক্ষায় খেলোয়াড় হয়ে গোল করার বা ছক্কা মারার!

বিজ্ঞ আইনজীবীগণকেও সমাজ রাষ্ট্র তথা জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় বলিষ্ঠ ও নৈতিকভাবে আইনী চর্চা করা উচিৎ! মনে রাখব আইন মানুষের জন্য….

লেখক: সিনিয়র সহকারী জজ