হাইকোর্ট ও করোনা
হাইকোর্ট ও করোনা

করোনা মোকাবিলায় দায়িত্বরত সাংবাদিক-পুলিশকে পিপিই সরবরাহে রিট

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় দায়িত্বরত সাংবাদিক, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও রিটে ডায়াগনেস্টিক সুবিধা ও কোয়ারেন্টিন এবং চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (২৩ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মো. জেআর খান রবিন জনস্বার্থে এ রিট করেন। রিটের বিষয়ে চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন শুনানি হতে পারে।

রিটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য সরঞ্জামাদি সরবরাহের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সাংবাদিক পুলিশকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

দেশের সাধারণ জনগণের সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে করোনা শনাক্তে ডায়াগনস্টিক সুবিধা ও চিকিৎসা বৃদ্ধি এবং সঠিক কোয়ারেন্টাইন বৃদ্ধির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, তথ্য সচিব, মহাব্যবস্থাপক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, মহাব্যবস্থাপক বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট, আইইডিসিআরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন) এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রেরণ করেন।

নোটিশে বলা হয়, করোনাভাইরাস চীনে প্রথম ধরা পড়লেও বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় ১৬১ দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এর উৎপত্তি ও চিকিৎসা এখনও অজানা রয়েছে। এ ভাইরাস ছোঁয়াচে। তাই ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং এক জনগোষ্ঠী থেকে অন্য জনগোষ্ঠীতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ৭ হাজার ৪৯৪ জন মারা গেছে। বাংলাদেশেও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডাক্তারগণ নিজ নিজ কর্তব্য পালন করতে গিয়ে অসংখ্য মানুষের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই তাদের এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে করোনায় জরুরি সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ আবশ্যক। কিন্তু উক্ত বিষয়ে ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। কিন্তু সে নোটিশের বিষয়ে কোনো জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়।