করোনা পরিস্থিতিতে পোষা পাখি/প্রাণীর জন্য মন্ত্রীর নির্দেশনা; প্রশংসা সুধীজনে

করোনা পরিস্থিতিতে পোষা পাখি ও প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ না করার ব্যাপারে সতর্ক করে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকেও মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পোষা পাখি ও প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা ফৌজদারি অপরাধ।’

সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাঁটাবনে ফিশ ও পেট এনিমেল মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত দোকান মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘কাঁটাবন মার্কেটে পোষা পাখি ও প্রাণীদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হচ্ছে কিনা, তাদের প্রতি নির্দয় আচরণ করা হচ্ছে কিনা, তারা পর্যাপ্ত আলো-বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছে কিনা– এসব বিষয় সরেজমিন দেখার জন্য মার্কেট পরিদর্শন করেছি। এখানকার দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পোষা পাখি ও প্রাণীদের যাতে পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হয়, তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণে প্রয়োজনীয় আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করা হয় এবং তাদের প্রতি কোনোভাবেই যেন নিষ্ঠুর আচরণ না করা হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

পরিবেশবিদ, শিক্ষক, আইনজীবী, সুধীজনরা অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এমন একজন তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিক্রিয়ায় শ ম রেজাউল করিম বলেন- ‘ওখানে (কাঁটাবন মার্কেট) থাকা সব পাখি উড়তে পারেনা। অনেক পাখি বিদেশ থেকে আমদানি করা। অধিকাংশ প্রাণী আটকা পরিবেশে জন্ম ও বেড়ে উঠেছে। ছেড়ে দিলে ওই পাখিরা মুক্ত আকাশে উড়তে পারবেনা, নিজেরা খাবার সংগ্রহ করতে পারবেনা। মারা যাবে বা অন্য হিংস্র পাখির খাবারে পরিনত হবে। একই রূপ সমস্যা পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রেও। আপাতত তাদের খাবার, পরিবেশ ও পরিচর্যা নিশ্চিত করা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখতে হচ্ছে।’