ভিকটিম সেজে সাক্ষ্য দিতে এসে ধরা, বাদী-আসামী-ভুয়া সাক্ষীসহ কারাগারে ১১
কারাগার (প্রতীকী ছবি)

করোনায় কারাগারগুলোতে চাপ কমাতে ২৮৮৪ বন্দী মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু

করোনাভাইরাসের কারণে কারাগারগুলোতে চাপ কমাতে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার থেকে সারা দেশের কারাগারগুলো থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কয়েকটি ধাপে মোট ২ হাজার ৮৮৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে।

শনিবার ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। আজ রোববার আরও ৩৮৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, যাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা সবাই লঘু দণ্ডে দণ্ডিত। সর্বোচ্চ এক বছর যাদের সাজা, তাঁরাই এই তালিকায় রয়েছেন। তালিকা করা বন্দীদের ছয় মাস থেকে এক বছর, তিন মাস থেকে ছয় মাস এবং শূন্য থেকে তিন মাস—এই তিনটি ভাগে ভাগ করে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

সারা দেশে ৬৮টি কারাগার রয়েছে। এসব করাগারের ধারণক্ষমতা ৪১ হাজার হলেও ৮৫ হাজারের বেশি বন্দী অবস্থান করছেন।

কারা অধিদপ্তেরর অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিচারাধীন কোনো মামলার আসামিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা মুক্তি পাচ্ছেন, তাঁরা সবাই সাজাপ্রাপ্ত। বিচার শেষে তাঁদের সাজা সর্বোচ্চ এক বছর পযর্ন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। কেউ হয়তো এক মাস জেল খেটেছেন, কেউ হয়তো ৯ মাস। এ ক্ষেত্রে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ বা হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের অন্য কোনো মামলায় তাঁদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।

কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া যায় কিনা, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কারা অধিদপ্তর পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় থেকে সেই চিঠির অনুমতিসাপেক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ সারা দেশের জেল থেকে প্রায় তিন হাজার কয়েদিকে প্রাথমিকভাবে মুক্তি দিচ্ছে কারা অধিদপ্তর।