সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান

করোনায় বিশিষ্ট আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমানের মৃত্যু, প্রধান বিচারপতির শোক

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)।

আজ বুধবার (২৪ জুন) ভোর ৪ টায় আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর সংবাদটি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্ণি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একপুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন। মরহুমের পুত্র সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ রহমান সবুজ ও কন্যা একজন চিকিৎসক। ঢাকার সেগুনবাগিচায় বসবাস করতেন তিনি।

মরহুমের লাশ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাংগরাবাজার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।

প্রধান বিচারপতির শোক
বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান ১৯৯০ সালের ১১ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। তাঁর মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, প্রধান বিচারপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির শোক-

আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আমিন উদ্দিন।

শোক বার্তায় এডভোকেট আমিন উদ্দিন বলেন,  ইদ্রিস ভাই (এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান) আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন। ইদ্রিস ভাই শুধু একজন ভালো আইনজীবীই ছিলেন না, একজন অনেক বড় মাপের মানুষও ছিলেন। এদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে তার অবদান সর্বদা স্মরণীয়। মানবাধিকার কর্মী হিসেবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা, বা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে যখনই প্রয়োজন হত নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করতেন।

তিনি আরো বলেন, ইদ্রিস ভাইয়ের সাথে দীর্ঘ তিনদশক সময় ধরে পরিচয়, এবং সম্পর্ক। এই দীর্ঘ সময়ে যখনই দেখা হয়েছে তিনি সবসময়ই হাসিমুখে কথা বলতেন, কখনো মুখ ভার করে থাকতে দেখিনি। বয়সে কিছু বড় হওয়া স্নেহমিশ্রিত বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল তার সাথে।

সমিতির সভাপতি বলেন, আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া করি আমাদের এই প্রিয় মানুষটিকে যেন বেহেস্তে স্থান দান করেন। তাকে ক্ষমা করে দেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের এই শোক বহিবার শক্তি দেন। আমীন