কক্সবাজার জেলা বারের প্রথম সদস্য অ্যাডভোকেট পীযুষ চৌধুরী আর নেই
শোক : ইন্তেকাল

করোনা আক্রান্ত দু’জনসহ সুপ্রিম কোর্টের ৩ আইনজীবীর মৃত্যু

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সুপ্রিম কোর্টের আরও দুইজন আইনজীবী। এ ছাড়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অপর এক আইনজীবী।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি এটর্ণি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী মো. লিয়াকত আলী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাত পোনে ৯টার দিকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মরহুমের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ উপজেলায়। ঢাকায় মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটি এলাকায় বসবাস করতেন তিনি।

তিনি ১৯৯৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টে আইনপেশা পরিচালনার অনুমতিপ্রাপ্ত হন এবং ১৯৯৭ সালের ৩ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া (৫০) একই দিনে (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে নিউলাইফ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন বাসায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায়। ঢাকায় পূর্ব নাখালপাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন তিনি। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন। ৩০ জুন বাদ এশা নাখালপাড়া জামে মসজিদে জানাযা নামাজ শেষে মরহুমের লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে পুনরায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

তিনি ২০০১ সালের ২৪ মার্চ আইনপেশার সনদপ্রাপ্ত হয়ে ৩ এপ্রিল ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন এবং ২০০৫ সালের ২০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টে আইনপেশা পরিচালনার অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৬ সালের ১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন।

এ ছাড়া হার্ট অ্যাটাকে গত ৩০ জুন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির আজীবন সদস্য ও মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সায়্যেদুল হক নান্নু (৬১) মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ২৯ জুন হার্ট অ্যাটাক করলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন তিনি।