সনদের দাবিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের অনশন অব্যাহত

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদের দাবিতে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ২০১৭ ও ২০২০ সালের প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রবেশ গেটের সামনে থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

এর আগে গত ৭ জুন বার কাউন্সিল অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে যাবে বলেও জানায় আন্দোলনরত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

প্রতি ছয় মাস পর পর বার কাউন্সিল তালিকাভুক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্নের বিধি থাকলেও প্রায় তিন বছর ধরে না হওয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়েছে। সনদ দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবিতে তাদের এ আন্দোলন চলবে।

দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে শিক্ষানবিশরা বলেন, ‘আগে একটি ধাপে পরীক্ষা তথা ভাইভা নিয়ে সনদ প্রদান করা হতো। সময়ের প্রয়োজনে আইন সংশোধনের মাধ্যমে তিনটি ধাপ তথা প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা গ্রহণের মাধ্যমে সনদ প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী থেকে ৮ হাজার ৭৬৪ জন এবং ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার থেকে অবশিষ্ট ৩ হাজার ৫৯০ জন। সর্বোমোট প্রায় ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদ প্রত্যাশী।‘

তারা বলেন, ‘উর্ত্তীর্ণ ১২ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষানবিশ আইনজীবী আমরা যারা আছি। করোনাকালীন এ সময়ে আমরা ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে দিন পার করছি। এভাবে ঝুলে কত দিন থাকা যায়। আমরা এক ধরনের মানবেতর জীবন-যাপন করছি। না পারছি অন্য পেশায় যেতে, না পারছি আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে। অভিশাপ থেকে মুক্তির লক্ষে মানবিক দৃষ্টিতে গেজেটের মাধ্যমে সনদ প্রদান করে আমাদের দিকে সদায় হতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

এর আগে গত ৬ জুন তারা বার কাউন্সিল ও আইন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। ৯ জুন দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বারাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। ৩০ জুন সংবাদ সম্মেলন ও মানব বন্ধন করে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে সনদ প্রদানের আহ্বান জানান শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।