বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতিবিরোধী ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে রুল
বঙ্গবন্ধু এবং হাইকোর্ট

সংসদে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।

জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বুধবার (১২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন।

রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনটির ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক-উল-হাকিম এবং বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের আদালতে (ভার্চুয়াল) শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৪ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল সরকারি, আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে হবে।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, যেহেতু জাতীয় সংসদ স্পিকারের কার্যালয় এবং একটি সরকারি অফিস তাই সংসদে অধিবেশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ সাংবিধানিক দায়িত্ব। ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের নিজ নিজ জাতির পিতা কিংবা জাতীয় বীরদের প্রতিকৃতি অথবা ভাস্কর্য আইন সভায় রয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশের আইন সভায়ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বাংলাদেশের আইন সভায় ছিল এবং এর সমর্থনে ঐতিহাসিক দলিলপত্র শুনানিকালে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে।

এর আগে একই বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সচিবের নিকট এ বিষয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু তিনি সংসদে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় এই রিট দায়ের করা হয়।

এর আগে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশের প্রতিটি আদালত কক্ষে বা এজলাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদান করেন। যা ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রতিটি আদালতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।