বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (ফাইল ছবি)
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (ফাইল ছবি)

সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার মামলায় আরো ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা আত্মসাৎ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন, মামলা রেকর্ডিং অফিসার দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম, ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখার অ্যাসিস্টটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মৃণাল মজুমদার এবং একই শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার রেজাউল হাসান।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট মামলার বাদী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সাক্ষ্য দেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে গত ১৩ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলায় এখনও যারা পলাতক রয়েছেন তারা হলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী।

এ মামলার এসকে সিনহা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন— ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জিয়াউদ্দিন আহমেদ তদন্তকালে মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।