জেএমআই’র চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক

নকল এন-৯৫ মাস্ক: জেএমআই’র চেয়ারম্যান কারাগারে

নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে দুদক। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে দুদক। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা মামলার সুষ্ঠুত দন্তের জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ২০ হাজার নকল এন-৯৫ মাস্ক আসল দেখিয়ে ১০টি হাসপাতালে সরবরাহ করার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক, সিএমএসডির সাবেক উপপরিচালক ও কক্সবাজার মেডিকেলের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন খানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

গত ১০ জুন থেকে দুদক কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

মাস্ক-পিপিই কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ১২ ও ১৩ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এছাড়া মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে এর আগে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সিএমএসডির ছয় কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।