নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ঢাকার আদালতপাড়া
মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা

জামিনের আশ্বাসে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ: পেশকারের বিরুদ্ধে ঢাকা বারের অভিযোগ

জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিচারপ্রার্থীর কাছ থেকে সাত লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ঢাকা জজ কোর্টের এক বেঞ্চ সহকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালতের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।

বিচারপ্রার্থী এক নারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান (হাসান) মহানগর দায়রা জজ আদালত বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারীর নাম মোঃ জালাল হোসেন। তিনি ৫ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে কর্মরত। আর ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীর নাম হামিদা বেগম।

অভিযোগের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন সমিতির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম মাসুম।

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থী হামিদা বেগম রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন নারিন্দাস্থ দক্ষিণ মুহসেন্দীর বাসিন্দা। চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর বেঞ্চ সহকারী জালাল হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রামপুরা থানায় দায়ের করা এক মামলার তাঁর ছেলে মোঃ বিপ্লব হোসেন গ্রেফতার হন। যথা নিয়মে ছেলের জামিনের জন্য তিনি আইনজীবী নিয়োগ দেন। কিন্তু ৫ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার মোঃ জালাল হোসেনের প্ররোচনায় পড়ে ছেলের দ্রুত জামিনের আশায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওই বেঞ্চ সহকারীকে নগদ ৭ লাখ টাকা প্রদান করেন।

কিন্তু আজ পর্যন্ত জালাল হোসেন তাঁর ছেলের জামিন করাতে পারেনি। পরে ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থী টাকা ফেরত চাইলে একটি ৩ লাখ এবং একটি ২ লাখ টাকার চেক প্রদান করে এবং বাকি দুই লাখ টাকা নগদ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগপত্রে হামিদা বেগম আরও উল্লেখ করেন, চেক প্রদান করলেও অভিযুক্ত পেশকার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এমনকি ছেলের জামিনের ব্যবস্থাও করছে না।

অ্যাডভোকেট মাসুম জানান, নিয়ম অনুযায়ী আইনজীবী ব্যতীত আদালতের কোন কর্মচারী আসামিপক্ষে মামলা গ্রহণ, মামলা পরিচালনা, জামিন করানোসহ টাকা গ্রহণ করতে পারে না।

এজন্য বিচারপ্রার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বেঞ্চ সহকারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান সমিতির দপ্তর সম্পাদক।