কঙ্গোর কারাগারে সশস্ত্র হামলা, ১৩০০ বন্দীর পলায়ন

কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমাঞ্চল বেনির একটি কারাগারে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা তেরো শর বেশি বন্দীকে কারাগার থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সেখানকার স্থানীয় মেয়র মডেস্তে বাকওয়ানামাহা জানান, কাংবায়ির কেন্দ্রীয় কারাগার ও সেখানকার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাঘাঁটিতে ওই হামলার পর বর্তমানে আর মাত্র এক শ বন্দী আছেন। এই হামলার জন্য তিনি স্থানীয় সশস্ত্র একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দায়ী করেন।

কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের মধ্যে অন্তত ২০ জন পুনরায় ফিরে এসেছেন বলে মেয়র দাবি করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত হামলাকারীরা বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে কারাগারের ফটক ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়।’

এই হামলা চলাকালে দুজন বন্দী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বলে স্থানীয় পুলিশ বিভাগ এক টুইট বার্তায় জানায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। মেয়র মডেস্তে বাকওয়ানামাহা বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস এডিএফ এই হামলা করেছে।’

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়, অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্স বা এডিএফ উগান্ডাভিত্তিক একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। যারা ১৯৯০ সাল থেকে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সক্রিয়।

জাতিসংঘের হিসাব বলছে, ২০১৯ সাল থেকে এডিএফ-এর হাতে অন্তত এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই গোষ্ঠীকে দমনে সেখানে একাধিক সেনা অভিযানও চালানো হয়েছে।

কঙ্গোতে ২০১৭ সালেও একবার এমন হামলা হয়েছিল। সেবারও প্রায় একই সংখ্যক বন্দী পালিয়ে গিয়েছিল।