উচ্চ আদালত
উচ্চ আদালত

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টে তলব

গণধর্ষণ মামলার দুই আসামির জবানবন্দি একই সময়ে রেকর্ড করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। মামলার কেস ডকেটসহ আগামী ১১ নভেম্বর তাকে আদালতে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

ওই ধর্ষণ মামলার এক আসামি মো. শাহাদতের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির সময় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল জলিল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই মামলায় তিন আসামির মধ্যে আসামি শাহাদাত বাবুবাজার এলাকা থেকে এবং কাউছার ওরফে হৃদয় গুলশান-১ থেকে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ গ্রেপ্তার হন।’

সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘একই বছরের ২৮ মার্চ দুপুর ১২টায় ওই দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারাফুজ্জামান আনছারী।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আইনের বিধান অনুসারে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামিকে অন্তত তিন ঘণ্টা সময় দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, দুই আসামির জবানবন্দি একই সময়ে রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট ব্যাখ্যা জানাতে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে সিডিসহ ১১ নভেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় প্রাইভেটকারের মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হন মামলার বাদী। এ ঘটনায় পরদিন ১৩ অক্টোবর ভাটারা থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়।

২০১৯ সালের ২৮ মার্চ মামলার তিন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- শাহাদত হোসেন, মো. কাউছার হৃদয় ও মো. নবীরুল ইসলাম।

এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরাফুজ্জামান আনছারী বেলা ১২টায় দুই আসামি শাহাদত হোসেন ও মো. কাউছার হৃদয়ের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

পরবর্তীতে তদন্ত শেষে তিন আসামির বিরুদ্ধে গত বছর ১৯ জুন অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এ মামলায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামিদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

চলতি বছরের ১৮ আগস্ট আসামি মো. কাউছারকে এক বছরের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় শাহাদত হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে একই সময়ে দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের বিষয়টি ধরা পড়ে।