উচ্চ আদালত
উচ্চ আদালত

তালমা নদী দখল মুক্ত করতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

পঞ্চগড় জেলা শহরের উপকণ্ঠে প্রবাহমান তালমা নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেনও অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সিএস এবং আরএস পর্চা অনুযায়ী দখলমুক্ত ও ভরাট বন্ধ করে নদীটি রক্ষায় কেনও নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর)  বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), বিআইডব্লিউটি’র পরিচালক, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এবং ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সময় তালমা নদী দখল মুক্ত করতে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নদীর ভরাট ও দখল বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও নির্দেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই আদেশ বাস্তবায়ন করে ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ চৌধুরী রাসেল।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর “পঞ্চগড়ে প্রকাশ্যে নদী দখল” শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি)পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্চগড় জেলা শহরের উপকণ্ঠে প্রবহমান তালমা নদী দখল চলছে। কয়েক দিন ধরে শত শত ট্রলি দিয়ে বালু ফেলে নদীটিকে দখল করছে সৌদি বাংলা অ্যানভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইকো ফ্রেন্ড লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি কোম্পানি।

এর আগে নদী দখল করে গড়ে ওঠে হিমালয় বিনোদন পার্ক নামের একটি বিনোদন কেন্দ্র। ফলে নদীটি এখন প্রায় অর্ধমৃত অবস্থায় রয়েছে।

পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশনের পঞ্চগড় জেলার নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় জলাধারভিত্তিক অবৈধ দখলদারদের তালিকা অনুসারে সৌদি বাংলা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইকো ফ্রেন্ড লিমিটেড প্রায় সাড়ে ৭ একর নদীর জমি দখল করেছে। বর্তমানে তারা নদীর প্রবহমান ধারায় বালু ফেলছে। অন্যদিকে হিমালয় বিনোদন পার্ক প্রায় সাড়ে ৮ একর জমি দখল করেছে।’