এ এম আমিন উদ্দিন

অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে শিক্ষানবিশদের কটূক্তি, ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তথা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে নিয়ে কতিপয় শিক্ষানবিশ আইনজীবী কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আমিন উদ্দিনকে নিয়ে শিক্ষানবিশদের এমন অনভিপ্রেত মন্তব্য নিয়ে আইনাঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আজ শনিবার (২৮) শিক্ষানবিশদের এমন আচরণের তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান (জেড আই খান) পান্না তার নিজস্ব ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘এরা (কটূক্তিকারীরা) আইনজীবী হবার যোগ্য না’।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের স্ববিরোধী আচণের ওপর প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘প্রেসক্লাবে দিনের পর দিন অনশনে করোনা ছড়ায়না? পরীক্ষা দিতে গেলে হয়?’

অ্যাডভোকেট সাকলান ইমন লেখেন, ‘এর আগে প্রয়াত এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাহেবকে শারীরিক ভাবে আক্রমণ করার প্লান ও ওদের ছিল৷ তাকে জানিয়েছিলাম। মুচকি হেসেছিলেন। এবার তারা এ.এম আমিন উদ্দিন স্যারকেও টার্গেট করেছে৷ ওদের এমন আচরণে বার কাউন্সিল এখনই ওদের বহিস্কার করে দিক। আদালতে সব প্রকার বেয়াদবদের আগমন বন্ধ হোক।’

জানতে চাইলে জনসচেতনতা উন্নয়নমূলক সংগঠন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিগ্যাল ভয়েস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, বার কাউন্সিলের ব্যর্থতার দায় যেমন সকল আইনজীবী নিতে পারে না, তেমনি কিছু শিক্ষানবিশদের বেয়াদবির দায় সকল শিক্ষানবিশ নিতে পারে না।

দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ব্যারিস্টার ফরহাদ বলেন, শিক্ষানবিশদের উচিত গুরুদের সম্মান করা। যেকোন পরিস্থিতিতে শিক্ষাগুরুদের নিয়ে নিন্দাজনক বক্তব্য তাদের জন্য খারাপ ছাড়া, ভাল কোন কিছু বয়ে আনবে না।

এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির, রাশিদা চৌধুরী নিলু, আব্দুল্লাহ আল হারুন রাসেল, শাহ নেওয়াজ, নাজমুস সাকিব, রউফ খান, তৌহিদুল ইসলাম, মাসরাত আলী তুহিন, গোলাম কিবরিয়া সুমনসহ সুপ্রিম কোর্টের শতাধিক আইনজীবী লিখিত পরীক্ষার তারিখ দেওয়ায় যারা সিনিয়র আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা বলছে তারা আইনজীবী হবার যোগ্য না উল্লেখ করে এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানান।