ধর্মীয় বিষয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য: শেরপুরের জেলা জজকে প্রত্যাহার
বিচারক (প্রতীকী ছবি)

মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্ত: সাক্ষীর গাড়িভাড়া দিলেন বিচারক

সাক্ষীর গাড়িভাড়া দিয়ে মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ঢাকার আদালতের এক বিচারক। মাদক মামলার সাক্ষ্য দিতে ফেনী থেকে ঢাকায় এসেছিলেন নাসির উদ্দিন। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে জানালেন, তিনি গরিব মানুষ। কাজকর্ম নেই। টাকা ধার করে ফেনী থেকে এসেছেন। এখন বাড়ি যাওয়ার টাকা নেই। এ কথা শুনে বিচারক তাঁকে গাড়ি ভাড়া দেন।

ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ৭–এ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার তাঁকে গাড়িভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা দেন।

জানা গেছে, ফেনী জেলার চরকান্দির মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন মাদক মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী। তাঁর সামনে র‌্যাব ৪১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। সেই মামলায় তাঁকে জব্দ তালিকার সাক্ষী করা হয়।

সমন পেয়ে মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন নাসির। এ সময় বিচারককে তিনি বলেন, ‘স্যার আমি গরিব মানুষ। ঘটনার সময় পাশের ভবনে আমি দারোয়ান ছিলাম। দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পাওয়ার পর গ্রামে চলে যাই। কাজকাম নাই আয়–রোজগারও তেমন নাই। সাক্ষ্য দিতে আসব, তার জন্য গাড়িভাড়া নেই। ধারকর্জ করে নিয়ে এসেছি। আমাকে সরকারি গাড়ি দিয়ে পৌঁছে দেন; না হয় দেড় হাজার টাকা গাড়িভাড়া দেন। তখন বিচারক নিজের বেতন থেকে তাঁকে ৫০০ টাকা দেন।’

এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ সাক্ষীর যাতায়াত (কনভেন্স) ভাড়া দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু পাবলিক সাক্ষীদের ক্ষেত্রে কোনোরকম কনভেন্স দেওয়ার বিধান নেই। যে কারণে অনেক সাক্ষীই মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসতে আগ্রহী হন না। মাদক মামলার জব্দ তালিকা বা ঘটনাস্থলে যাঁদের সাক্ষী করা হয়, তাঁদের অধিকাংশই ভাসমান ও গরিব।