বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা

পতাকা বিধিমালা প্রতিপালনে সতর্ক থাকার নির্দেশ

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২ প্রতিপালনে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রতীক। এর মর্যাদা সমুন্নত রাখা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ‘বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা-১৯৭২’-এ জাতীয় পতাকা সংক্রান্ত বিধিমালা সন্নিবেশিত রয়েছে। যার প্রতিপালন বাধ্যতামূলক।

চিঠিতে আরও বলা হয়, পতাকা বিধিমালায় উল্লিখিত দিবসগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে সুস্পষ্ট বিধান উল্লেখ রয়েছে। বিধিমালায় বলা হয়েছে—যে ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পতাকা’ উত্তোলন করা হয়, সে ক্ষেত্রে একইসঙ্গে জাতীয় সংগীত গাইতে হবে। যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয়, তখন উপস্থিত সবাই পতাকার দিকে মুখ করে দাঁড়াবেন। ইউনিফর্মধারীরা স্যালুটরত থাকবেন। পতাকা প্রদর্শন না করা হলে উপস্থিত সবাই বাদ্যযন্ত্রের দিকে মুখ করে দাঁড়াবেন, ইউনিফর্মধারীরা জাতীয় সংগীতের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত স্যালুটরত থাকবেন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, জেলা পর্যায়ে জাতীয় দিবসসমূহে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের সময় কতিপয় জেলার ইউনিফর্মধারী ব্যক্তি বিধি অনুযায়ী জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন না করে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করছেন; যা বিধিবর্হিভূত

এমতাবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় ‘পতাকা বিধিমালা-১৯৭২’ এর বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হলো এবং ভবিষ্যতে এ বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।