কারাদণ্ডের বদলে ৬ মাস বিনা বেতনে গান শেখানোর 'সাজা'
আদালত (প্রতীকী ছবি)

পাবনা সদর থানার ওসিকে শোকজ

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) কারণ দর্শানোর (শোকজ) নির্দেশ দিয়েছেন ঈশ্বরদী পারিবারিক আদালত।

আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) আদালতের বিচারক এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ্ একটি মামলায় এই আদেশ প্রদান করেন।

আদালতসূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সংশ্লিষ্ট আদালতে একটি পারিবারিক মামলা দায়ের করেন বাদী মোছাঃ মিলি সুলতানা আঁখি। ২০১৭ সালে তিনি আদালত হতে ডিক্রী পান।

আদালতের নির্দেশ অনুসারে বিবাদী ডিক্রিকৃত টাকা বাদীকে বুঝিয়ে না দেওয়ায় ২০১৯ সালে বিবাদীকে গ্রেফতারপূর্বক ডিক্রী জারীর প্রার্থনা করেন বাদী। আদালত লেভি ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে থানা থেকে তা বিনাজারিতে ফেরত আসে।

এরপর আইনানুযায়ী বিবাদীকে ৩ মাসের সাজা প্রদান করে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করে। কিন্তু, দীর্ঘ ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও পাবনা সদর থানা থেকে উক্ত ওয়ারেন্ট জারী হয়ে আসেনি। এমনকি এতোদিনেও ওয়ারেন্ট তামিল না করার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আদালতে কোন প্রতিবেদনও দাখিল করেনি।

আদালতসূত্রে আরও জানা যায়, বিচারাধীন মোকদ্দমাটিতে দীর্ঘ পুরাতন একটি পারিবারিক মোকদ্দমার ডিক্রী জারী কার্যক্রম চলছে। দীর্ঘ দিনেও পরোয়ানা তামিল হয়ে না আসায় মোকদ্দমার কার্যক্রম স্থগিত আছে।

এতে করে ডিক্রীদার-বাদী ডিক্রীর ফললাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দীর্ঘ ১৬ মাসেও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করতে না পারা এবং এমর্মে কোন প্রতিবেদন দাখিল না করাটা স্পস্টতই দায়িত্বে অবহেলা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা বলে আদালত তার আদেশে উল্লেখ করেন। এতে বিচারপ্রার্থী হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

এমতাবস্থায়, ওয়ারেন্ট তামিলের ব্যর্থতায় এবং এ বিষয়ে কোন প্রতিবেদন দাখিল না করায় কেন তার বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্যের দায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এবং একই সাথে দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে না সে মর্মে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন।