এবার অর্থপাচার মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু
পাপিয়া দম্পতি (ফাইল ছবি)

এবার মাদক মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার মাদক আইনে করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত ৮ম মহানগর দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তারা নিজেরদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার কামনা করেন।

আইনজীবীরা জানান, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন-পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। সেসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামের বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব।

এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, মাদক আইনে একটি ও বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।

১০ সেপ্টেম্বর শেরে বাংলা নগর থানার মাদক মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় গত বছরের ১২ অক্টোবর ২০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।

এছাড়া অস্ত্র আইনের আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার কারাদণ্ড একই সঙ্গে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক।