আর্থিক দুর্নীতি দমনে ইডির ক্ষমতা বাড়িয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন কার্যকরে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ

ভারতে সম্প্রতি পাস হওয়া মোদি সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইন কার্যকরে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিন শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে বলেছেন, এ আইন নিয়ে কৃষকদের শঙ্কার জায়গা কোথায় তা জানতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। আর এ কমিটির কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলি জোটবদ্ধ করে শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। মঙ্গলবার ছিল মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি।

শুরুতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আইন তিনটি নিয়ে আদালত যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। একটানা আন্দোলনের জেরে মানুষের জীবনযাত্রা এবং সম্পত্তির উপরও প্রভাব পড়েছে। এর সঙ্গে জীবন ও মৃত্যু জড়িয়ে। যতটা ভালভাবে সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আগেরদিন সোমবারের শুনানিতে আদালত সরকারকে আইনটি স্থগিত রাখার আহ্বান জানায়। সর্বোচ্চ আদালত জানান, সরকার তা না করলে সুপ্রিম কোর্ট নিজেই এই পদক্ষেপ নেবে। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনেরও তাগিদ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার কৃষি আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশের পাশাপাশি আইনের পর্যালোচনায় চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই কমিটি কৃষি আইন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় ও বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে। আর ততদিন নয়া কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।

তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় দু’মাস ধরে দিল্লি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। দাবি না মেটা পর্যন্ত তা চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলোর তরফে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার বলেছে, দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভ না করে রামলীলা ময়দানে কৃষকরা যাতে আন্দোলন চালাতে পারেন তার জন্য নয়াদিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতি চাওয়া হোক।

এদিনের রায়ে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, কোনও আইন স্থগিত রাখার ক্ষমতা তাদের হাতে রয়েছে, কিন্তু তা অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি থাক এমনটা আদালতের অভিপ্রায় নয়। আদালত জানিয়েছে, কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত একটি বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়া। এর ফলে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যেতে পারে।