বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং বগুড়া অ্যাডভোকেটস্ বার সমিতির তলবি সভা (ইনসেটে)
বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং বগুড়া অ্যাডভোকেটস্ বার সমিতির তলবি সভা (ইনসেটে)

অনির্দিষ্টকালের জন্য বগুড়া জেলা জজ আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের

বগুড়ায় আইনজীবীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালত বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বগুড়া অ্যাডভোকেটস্ বার সমিতির তলবি সভায় গত বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে আদালত সূত্র বলেছেন, আসামিদের জামিন না দিলে কতিপয় সিনিয়র আইনজীবী উল্টো বিচারকের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ করেন। তাদের বদলি করাসহ নানভাবে হুমকি-ধামকিও দেওয়া হয়ে থাকে।

বার সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত তলবি সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম টুকু। তিনি বলেন, ‘বগুড়ার সিনিয়র ও জুনিয়ার আইনজীবীদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অশোভন আচরণ করায় সমিতির পক্ষে এই তলবি সভা আহ্বান করা হয়।’

সমিতির সভাপতি বলেন, সভায় ১৮ জন আইনজীবী বক্তব্য রাখলেও ১১ জন আগামীকাল ১৭ জানুয়ারি রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালত বর্জনের পক্ষে মত দেন। অবশিষ্ট আট জন কিছুদিনের জন্য বর্জনের কথা বলেন। পরে সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বক্তার মতামতের ভিত্তিতে সমিতি এই সিদ্ধান্ত নেয়।’

আইনজীবীরা জানান, বগুড়া অ্যাডভোকেটস্ বার সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু গত ১১ জানুয়ারি জেলা জজ আদালতে একটি হত্যা মামলার আসামির জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জামিন নামঞ্জুর করেন।

আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, এতে ওই সিনিয়র আইনজীবী ক্ষিপ্ত হয়ে জেলা জজের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ করেন। তখন জজ পুলিশকে খবর দিলে আইনজীবী আদালত থেকে বেরিয়ে যান। এই ঘটনায় বিচারকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিন্তা-ভাবনা করছেন।

তবে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু বলেন, ‘জেলা ও দায়রা জজ তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন।’