চার মাসের সাজার আপিল নিষ্পত্তি হয়নি ৪৯ বছরেও
উচ্চ আদালত

হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বগুড়ার জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার

আদালতের জরিমানার অর্থ আদায়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বগুড়ার জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার এসএম জাকির হোসেন।

আজ রোববার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হাসান মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তিনি এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

পরে আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। পাশাপাশি মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে এবং মামলাটির অবৈধ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে স্থানীয় জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মৌসুমী রহমান।

এর আগে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের এক মামলায় দুদু মিয়া নামক এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ১৪ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয় বগুড়ার আদালত। পরবর্তীতে তিনি ৬ মাস সাজা খেটে কারামুক্তি পান। তবে তাকে জরিমানা করা অর্থ আদায়ের জন্য তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করা হয়।

সে মামলায় নতুন করে ওয়ারেন্ট জারির পর দুদু মিয়াকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই মর্মে দুদু মিয়াকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন বগুড়া জেলার সার্টিফিকেট অফিসার।

এরপর ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর রিট করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটির কর্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং মামলার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেন।

একইসঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই সার্টিফিকেট অফিসার এসএম জাকির হোসেনকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় রবিবার জাকির হোসেন হাইকোর্টে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হন এবং তার কার্যক্রমের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থণা করে উপরোক্ত আদেশ দেন।