মোঃ কামাল হোসেন
মোঃ কামাল হোসেন

বেদখল জমির দখল পুনরুদ্ধারে আইনি প্রতিকার

প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি বা সংগঠন বা অন্য কারো বিরুদ্ধে মানুষের সম্পদ বা জমি দখলের অভিযোগ প্রায়ই আমরা দেখে থাকি। জমি বেদখল হলে একজন মানুষ কি ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন তা অনেকেই জানেন না যার কারণে সঠিক প্রতিকার পান না। এই প্রেক্ষিতে আসুন জেনে নিই কারো সম্পত্তি বেদখল হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিকার কী। বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন মোঃ কামাল হোসেন

জমি বেদখল কি
জমি বেদখল বলতে বোঝায় প্রকৃত মালিককে তার মালিকানা থেকে জোর করে উচ্ছেদ করে অবৈধভাবে সেখানে দখলদারের স্বত্তা প্রতিষ্ঠিত করা৷

প্রতিকার
ভূমি বেদখল হলে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য যে সমস্ত প্রতিকার আছে তা হলো: ক) সালিশের মাধ্যমে এবং খ) আদালতে মামলা করার মাধ্যমে।

সালিশের মাধ্যমে
কোন ব্যক্তির জমি বেদখল হলে তার গ্রামের স্থানীয় লোকদের নেতৃত্বে সালিশের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তি তার জমি ফেরত পেতে পারেন৷ সালিশে মীমাংসার মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধান করা হয়ে থাকে৷

আদালতে মামলা দায়ের

১. ফৌজদারী আদালতে মামলা: কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি হতে বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে বেদখল করার চেষ্টা হতে বিরত করার জন্য বা সম্পত্তিতে ঐ ব্যক্তির প্রবেশ বারিত করে আদেশ প্রদানের জন্য ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারার বিধান অনুসারে মামলা করতে পারবেন ৷

ধারা ১৪৫: জমি, ইত্যাদি সম্পর্কিত বিরোধের ফলে শান্তি ভঙ্গের আশংকা থাকলে পদ্ধতি (Procedure where dispute concerning and, etc, is likely to cause breach of peace):

(১) যখন কোন মেট্রৌপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ রিপোর্ট বা অন্য কোনভাবে সংবাদ পাইয়া এই মর্মে সন্তষ্ট হন যে, তাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে জমি বা পানি বা উহার সীমানা সম্পর্কে এমন একটি বিরোধ রহিয়াছে, যাহা শান্তিভঙ্গ ঘটাইতে পারে, তখন তিনি তাহার এইরূপ সন্তষ্ট হইবার কারণ উল্লেখ করিয়া তাহার দ্বারা নিধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে সশরীরে বা কৌসুলীর মাধ্যমে তাহার আদালতে হাজির হইবার এবং বিরোধের বিষয়বস্তুতে প্রকৃত দখল সম্পর্কে তাহাদের নিজ নিজ দাবী সম্পর্কে বিবৃতি পেশ করিবার নির্দেশ দিয়া একটি লিখিত আদেশ দিবেন।

(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “জমি বা পানি” বলিতে দালান, বাজার, মত্‍স্য খামার, ফসল ভূমির আন্যান্য উত্‍পাদিত দ্রব্য বা সম্পত্তির খাজনা বা মুনাফা ও বুঝায়।

(৩) ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশক্রমে এইরুপ ব্যক্তি বা ব্যক্তিগনের উপর আদেশের একটি কপি সমন জারীর জন্য এই আইনে বর্ণিত পদ্ধতিতে জারী করিতে হইবে এবং অন্তত:পক্ষে একটি কপি নকল সুবিধাজনক স্থানে বা বিরোধের বিষয়বস্তর নিকটে লটকাইয়া প্রকাশ করিতে হইবে।

(৪) দখল সম্পর্কে অনুসন্ধান: অত:পর ম্যাজিস্ট্রেট বিরোধের বিষয়বস্তুতে উক্তপক্ষসমূহের কাহার ও দখলের অধিকার গুণাগুণের বা দাবী প্রসঙ্গে না যাইয়া, পেশকৃত বিবৃতিসমূহ পাঠ করিবেন, পক্ষসমূহের বক্তব্য শ্রবণ করিবেন, তাহারা নিজ নিজ তরফে যে সাক্ষ্য হাজির করেন তাহা গ্রহণ করিবেন, এইরুপ সাক্ষ্যে ফলাফল বিবেচনা করিবেন, তিনি প্রয়োজন মনে করিলে অধিকতর সাক্ষ্য (যদি থাকে) গ্রহণ করিবেন এবং সম্ভব হইলে আদেশের তারিখে কোন পক্ষ উক্ত বিষয়বস্তর দখলে ছিলেন কিনা এবং কোন পক্ষ দখলে ছিলেন তাহা স্থির করিবেন:-

তবে শর্ত থাকে যে, ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত আদেশের তারিখের অব্যাহিত পূববর্তী দুই মাসের মধ্যে কোন পক্ষকে বলপূবর্ক ও অন্যায়ভাবে বেদখল করা হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি এইরুপ দখলচ্যুত পক্ষকে উক্ত তারিখে দখলকার ছিলেন বলিয়া বিবেচনা করিতে পারিবেন:

আর ও শর্ত থাকে যে, ম্যাজিস্ট্রেট যদি ঘটনাটিকে জরুরী বলিয়া মনে করেন তাহা হইলে এই ধারার অধীন সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে যে কোন সময় বিরোধের বিষয়বস্ত ক্রোক করিতে পারিবেন।

(৫) এই ধারায় যাহাই থাকুক না কেন উক্তরুপে হাজির হইবার নিদের্শপ্রাপ্ত কোন পক্ষ বা অন্য কোন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কারন দেখাইতে পারিবেন যে,পূবোর্ক্ত কোন বিরোধের অস্তিত্ব বর্তমানে নাই বা ছিল না; এবং এইরুপ ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট তাহার উক্ত আদেশ বাতিল করিবেন এবং পরবর্তী সমস্ত প্রক্রিয়া স্থগিত হইয়া যাইবে, তবে এইরুপ বাতিল সাপেক্ষে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক (১) উপধারায় অধীন প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।

(৬) আইনসংগতভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পযর্ন্ত দখলে থাকা পক্ষ দখল বহাল রাখিবে: ম্যাজিস্ট্রেট যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, পক্ষ সমূহের মধ্যে একপক্ষ বিরোধীয় বিষয়বস্তর দখলে ছিলেন বা (৪) উপ-ধারার প্রথম অনুশর্তের অধীন তাহাকে উক্ত বিসয়বস্তুতে দখলকার বলিয়া গন্য করা উচিত, তাহা হইলে যথাযথ আইনগত পদ্ধতির দ্বারা উচ্ছেদ না হওয়া পযর্ন্ত তিনি এই পক্ষ দখলের অধিকারী মর্মে ঘোষণা করিয়া এবং এইরুপ উচ্ছেদ না হওয়া পযর্ন্ত উক্ত দখলের প্রতি সকল ব্যাঘাত ঘটানো নিষিদ্ধ করিয়া একটি আদেশ দিবেন, এবং তিনি যখন (৪) উপ-ধারায় অনুশত অনুসারে অগ্রসর হন, তখন তিনি বলপূবর্ক বা অন্যায়ভাবে বেদখল হওয়া পক্ষকে দখলে পুনবর্হাল করিতে পারিবেন।

(৭) এইরুপ কোন প্রসিডিংস এর কোন পক্ষ যখন মারা যায় তখন ম্যাজিস্ট্রেট মৃত পক্ষের বৈধ প্রতিনিধিকে প্রসিডিংস এর পক্ষ করাইতে পারিবেন এবং অত:পর তিনি অনুসস্ধান চালাইয়া যাইবেন এবং এইরুপ প্রসিডিংস এর উদ্দেশ্য কে মৃত পক্ষের বৈধ প্রতিনিধি তত্‍সম্পর্কে যদি এইরুপ প্রশ্ন উথাপিত হয় তাহা হইলে মৃতপক্ষের প্রতিনিধি বলিয়া দাবীকারী সকল ব্যক্তিকে পক্ষ করিতে হইবে।

(৮) ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন যে, এই ধারার অধীন তাহার বিবেচনাধীন কোন প্রসিডিং- এর বিষয়বস্ত কোন সম্পত্তির ফসল বা অন্য কোন উত্‍পন্ন দ্রব্য দ্রুত প্রাকিতিকভাবে নষ্ট হইতে পারে, তাহা হইলে তিনি উক্ত সম্পত্তি যথাযথ হেফাজত বা বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারিবেন, এবং অনুসস্ধান সমাপ্ত হইবার পর উক্ত সম্পত্তি বা উহার বিক্রয়লব্ধ অথ বিলি বন্টনের জন্য তিনি যেরুপ উপযুক্ত বিবেচনা করেন সেইরুপ আদেশ দিবেন।

(৯) ম্যাজিস্ট্রেট উপযুক্ত মনে করিলে এই ধারার অধীন গৃহীত কোন প্রসিডিংসে এর যে কোন পযায়ে যে কোন পক্ষের আবেদনক্রমে কোন সাক্ষীকে হাজির হইবার বা কোন দলিল বা বস্তু হাজির করিবার নিদের্শ দিয়া সমন প্রদান করিতে পারিবেন।

(১০) এই ধারার কোন কিছুই তাহা ম্যাজিস্ট্রেটের ১০৭ ধারার অধীন অগ্রসর হইবার ক্ষমতা ব্যাহত করিবে বলিয়া গণ্য করা যাইবে না।

১৪৫ ধারার ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে উপজেলা ম্যাজিস্টেট দ্বারা প্রয়োগ করতে হবে। স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ হতে উদ্ভুত শান্তি ভঙ্গ প্রতিরোধকল্পে ১৪৫ ধারা দখলরত যে কোন একপক্ষকে দখল বজায় রাখার মাধ্যমে দ্রুত প্রতিকারের বিধান করেছে। এই ধারার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধীয় সম্পত্তির দখলে হস্তক্ষেপ করে উক্ত দখল সম্পর্কে অস্থায়ী আদেশ দিতে ম্যাজিষ্ট্রেটকে ক্ষমতা দেয়া এবং উক্ত আদেশের কাযর্কারিতা উপযুক্ত কোন আদালতের দ্বারা যে কোন একপক্ষে প্রকৃত অধিকার নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত বলবত্‍ থাকে।

তাই এই ধারায় প্রদত্ত এখতিয়ারের ভিত্তির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো হচ্ছে (১) একটি বিরোধ (২) বিরোধটি ভূমির দখল সম্পর্কিত (৩) উহা শান্তি ভঙ্গ করতে পারে এবং এই উপাদানগুলো বিদ্যমান আছে মর্মে ম্যাজিষ্ট্রেট সন্তুষ্ট হলে তিনি হস্তক্ষেপ করার অধিকারী হন। ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ার খুবই সীমিত এবং উহা শান্তি ভঙ্গের প্রতিরোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।১৪৫ ধারার কাযর্ধারা আধা বিচারিক এবং প্রকৃতিগতভাবে আধা প্রশাসনিক। ১৪৫ ধারার কখন ও কখন ও অপপ্রয়োগ হওয়ায় দেওয়ানী বিরোধ নিস্পত্তির জন্য পক্ষসমূহ ফৌজদারী আদালতের আশ্রয় নেয় কিনা তা সতর্কভাবে ম্যাজিষ্ট্রেটকে দেখতে হয়।

২. দেওয়ানী আদালতে প্রতিকার: কোন ব্যক্তির সম্পত্তি বেদখল হলে তিনি দেওয়ানী আদালতে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ও ৯ ধারায় মামলা দায়ের করতে পারবেন।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ আইনের ধারা ৮ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার: সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পত্তির দখলের অধিকারী ব্যক্তি দেওয়ানী কার্যবিধি অনুযায়ী তা নির্ধারিত পন্থায় পুনরুদ্ধার করতে পারে৷

ধারা ৮ এর প্রধান মূল বিষয় হলো যদি কোন ব্যক্তি দখলভুক্ত কোন স্থাবর সম্পত্তির দখলচ্যুত বা দখল হারিয়ে ফেলে তবে সে ব্যক্তি দেওয়ানী বিধির বিধান মোতাবেক তা উদ্ধার করতে পারবে৷এ ধারায় মামলায় সম্পত্তিতে বাদীর মালিকানা স্বত্ব থাকতে হবে৷ সম্পত্তিতে যার বৈধ মালিকানা স্বত্ব আছে তিনি কোন কারণে বেদখল হলে বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে ১৮৭৭ সালের সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ও ৪২ ধারা মতে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে সম্পত্তির দখল পুনরুদ্বার করতে পারেন৷এই ধারায় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে। প্রদত্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে। এই ধরনের মামলায় এডভোলেরাম কোর্ট ফি প্রদান করতে হয়।

ধারা ৯ অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তির দখলচ্যুত ব্যক্তি কতৃক মামলা: যথাযথ আইনগত পন্থা ব্যতিরেকে যদি কোন ব্যক্তি তার অসম্মতিতে স্থাবর সম্পত্তির দখলচ্যুত হয়, তবে সে অথবা তার মাধ্যমে দাবিদার কোন ব্যক্তি মামলার মাধ্যমে তার দখল পুনরুদ্ধার করতে পারে, যদিও তেমন মামলায় অপর কোন স্বত্ব খাড়া করা হতে পারে৷

সময়: এই ধারায় দখলচ্যুতির ছয় মাসের মধ্যে মোকদ্দমা করতে হবে৷ এ বিষয়ে ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন এর ৯ ধারার বিধান হলো যিনি ভূমি হতে বেদখল হয়েছেন তাকে বেদখল হওয়ার তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে মধ্যে দখল পুনরুদ্বারের দাবিতে দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে হবে৷

মনে রাখা ভাল, ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে মামলা তামাদি দোষে বারিত হবে৷ এভাবে ৯ ধারায় মামলা করে আদালতের মাধ্যমে দখল পুনরুদ্বার করা যায়৷

তবে ৯ ধারার মামলার স্বত্বের প্রশ্নটি বিচার্য হবে না৷ এই ধারার মূল বিষয় হলো বাদীকে আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়া সম্পত্তি হতে উচ্ছেদ বা বেদখল করা হয়েছে৷ এই ধারায় কোন ব্যক্তির জমির স্বত্ব যদি অস্বীকার করা হয় তবে তিনি এই ধারায় প্রতিকার চাইতে পারেন৷ ৯ ধারায় মামলার প্রতিকার শুধু দখল সংক্রান্ত৷

আদালতের মাধ্যমে দখল পুনরুদ্বার করা যায়৷ তবে ৯ ধারার মামলার স্বত্বের প্রশ্নটি বিচার্য হবে না৷ এমনকি বাদী যদি সম্পত্তিতে নিজের স্বত্ব (মালিকানা) প্রমাণে সমর্থ নাও হন কেবল বেদখল হওয়ার আগে পযন্ত দখলে থাকা প্রমাণ করতে পারেন তবেই তিনি তার পক্ষে ডিক্রী পেতে পারেন৷ সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মতে প্রদত্ত ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার কোন বিধান নেই৷ তবে মহামান্য হাইকোর্টে রিভিশন করা যাবে।

কিন্ত সরকার কর্তৃক বেদখল হলে এ আইনে কোন প্রতিকার পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ এই ধারায় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে না। এই ধারায় এডভোলেরাম কোর্ট ফি এর অর্ধেক কোট ফি দিতে হয়।

ধারা-৯ এর মূল বক্তব্য হলো আইনগত পন্থা ছাড়া দখলচ্যুত ব্যক্তি সম্পত্তিতে তার কোন স্বত্ব থাক বা না থাক, উক্ত দখলচ্যুত স্থাবর সম্পত্তির দখল উদ্ধারের জন্য মোকদ্দমা দায়েরের মাধ্যমে তা উদ্ধার করতে পারে৷ তবে সম্পত্তিতে প্রকৃত স্বত্ববান ব্যক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মামলা দায়েরের কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে না। সরকারের ক্ষেত্রে এ ধারার কোন প্রয়োগযোগ্যতা নেই। আদালত যে আদেশ দেবে তার বিরুদ্ধে আপীল বা পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে না।

ধারা-৪২: মর্যাদা বা অধিকার ঘোষণা সম্পকে আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা। আইনানুগ পরিচয় কিংবা কোন সম্পত্তির স্বত্বের অধিকারী কোন ব্যক্তি এমন যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে যে, তেমন মর্যাদা বা অধিকারের ব্যাপারে তার স্বত্ব অস্বীকার করেছে কিংবা অস্বীকার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, এবং আদালত তার ইচ্ছাধীন এবং তেমন মামলায় আরও কোন প্রতিকার দাবি করা বাদীর জন্য আবশ্যক নয়৷ তেমন ঘোষণার সাথে প্রতিবন্ধকতা- তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে দাবি কেবলমাত্র স্বত্বের ঘোষণা ছাড়াও আরও প্রতিকার দাবি করতে সমর্থ, কিন্তু তা করা হতে বিরত থাকে, সেখানে আদালত তেমন ঘোষণা প্রদান করবেন না।

মোঃ কামাল হোসেন: সহকারী ব্যবস্থাপক (আইন), বিজিডিসিএল, কুমিল্লা।