‘মেম্বার স্টেট নিড অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে’ বিষয়ক সভা
‘মেম্বার স্টেট নিড অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে’ বিষয়ক সভা

যুগোপযোগী করা হবে পরিবেশ আইন ও বিধি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি বলেছেন, দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম আরও কার্যকরী করতে এ বিষয়ক আইন-কানুন, বিধি-বিধান যুগোপযোগী করা হবে। যুগের চাহিদা মোতাবেক নতুন আইনও প্রণয়ন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘মন্টিভিডিও এনভাইরনমেন্টাল ল প্রোগ্রাম’ এর আওতায় অনুষ্ঠিত ‘মেম্বার স্টেট নিড অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে’ বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব এসব কথা বলেন।

জিয়াউল হাসান বলেন, ‘জনগণকে সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান জানতে সচেতনতামূলক কার্যক্রমও নেওয়া হবে। কিন্তু যারা জেনেবুঝে বিধিবিধান অমান্য করে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মিজানুল হক চৌধুরী, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা) ডক্টর ফাহমিদা খানম, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ ফয়সাল এবং বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলা) এর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার সাইদ আহমেদ কবিরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‘মন্টিভিডিও এনভাইরনমেন্টাল ল প্রোগ্রাম’ এর বাংলাদেশের ফোকাল পয়েন্ট ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) ডক্টর আশফাকুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী পরিবেশবিষয়ক আইনের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতার লক্ষ্যে জাতিসংঘ পরিবেশ অ্যাসেম্বলির চতুর্থ অধিবেশনে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, যা ২০২০ হতে ২০২৯ সাল পর্যন্ত চলমান থাকবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিবেশ সংশ্লিষ্ট আইন উন্নয়ন, বাস্তবায়ন ও সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে জাতিসংঘ পরিবেশ। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, কারিগরি সহায়তা ও জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে কর্মসূচিটির ৯টি কৌশলগত কার্যক্রম থেকে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে প্রেরণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে দেশে পরিবেশ আইন নিয়ে কাজ করে এমন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের মতামত সমন্বিতভাবে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচিতে পাঠানো হবে। পরে অনুমোদিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।’