মিতু হত্যার মতো চাঞ্চল্যকর মামলা চার বছরেও শেষ না হওয়া অপ্রত্যাশিত: হাইকোর্ট

চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে উক্ত হত্যা মামলার প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট।

মামলার এক আসামির জামিন শুনানিকালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন। আদালত বলেন, এ ধরনের একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্ত চার বছরেও শেষ না হওয়াটা অপ্রত্যাশিত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী ও আসামি ওয়াসিমের পক্ষে শংকর প্রসাদ দে শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট জামিন আবেদন ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতুবি রেখেছেন।

নগরের ও.আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নিহত হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার আসামি ওয়াসিম হাইকোর্টে জামিন চান। জামিন শুনানিকালে হাইকোর্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে।

ঐ তলব আদেশে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতে হাজির হয়ে বলেন, এর আগে তিনজন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। আমি দুমাস ধরে দায়িত্ব নিয়েছি। এ মামলায় ৫ জন গ্রেপ্তার হন। এর মধ্যে ২ জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। বাকি ২ জন পলাতক। আসামি ওয়াসিম দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের বিষয়ে এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে বৈঠক রয়েছে। ঐ বৈঠকের পর আশা করছি দুই মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা সম্ভব হবে। শুনানি শেষে মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে আদেশ দেন হাইকোর্ট ।

প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তারকৃত আসামি আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মূছার। মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশারফ হোসেন মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারকে দায়ী করেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে মিতু হত্যার অভিযোগের সাপেক্ষে বেশ কিছু সুত্র দিয়েছেন বলেও জানা যায়।