অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করলে ২০ বছর কারাদণ্ডের হুমকি
অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করলে ২০ বছর কারাদণ্ডের হুমকি

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করলে ২০ বছর কারাদণ্ডের হুমকি

মিয়ানমারে সশস্ত্র বাহিনীর কাজে বাধা দিলে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে অভ্যুত্থানবিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। এছাড়া নতুন আইনে কেউ অভ্যুত্থানকারী নেতাদের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা বা অপমানসূচক’ কিছু প্রকাশ করলেই দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড বা মোটা অংকের জরিমানার মুখে পড়তে পারেন বলে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।

গতসোমবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেউ নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে সাত বছর আর জনসাধারণের মধ্যে ভীতি বা অশান্তি ছড়ালে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, কেউ ‘মৌখক বা লিখিত শব্দ’ দিয়ে, কোনও ধরনের প্রতীক ব্যবহার করে বা দৃশ্যমান যেকোনও উপস্থাপনার মাধ্যমে সেনাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করলে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড বা বড় অর্থদণ্ডের মুখে পড়তে পারেন।

মিয়ানমারে রোববার টানা ৯ম দিনের মতো অভ্যুত্থানবিরোধীরা রাস্তায় নামার পরপরই আইনের বেশ কিছু ধারায় এই পরিবর্তন আনল নতুন জান্তা সরকার। গতকাল থেকেই দেশটির রাস্তায় টহল দিচ্ছে সাঁজোয়া যান।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হযেছে, মিয়ানমারের রাস্তায় সেনা টহল বৃদ্ধিকে অভ্যুত্থানবিরোধীদের ওপর সম্ভাব্য জোরজবরদস্তির সবশেষ নমুনা বলে মনে করা হচ্ছে।

রোববার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে। রাজ্যটির রাজধানী মিতকিনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের সময় এই গুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সেটি সাধারণ বন্দুকের গুলি নাকি রাবার বুলেট তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দি অন্য নেতাদের দ্রুত মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, ১৫ ফেব্রুয়ারি সু চির বন্দিদশা শেষ হওয়ার কথা। তবে গতসোমবার তার আইনজীবী জানিয়েছেন, এ নেতা আরও দু’দিন বন্দি থাকতে পারেন। এরপর ভিডিওকলের মাধ্যমে সু চিকে নেপিদোর একটি আদালতে হাজির করা হবে।