এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের নিয়োগের নির্দেশ

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের নিয়োগের নির্দেশ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক (এনটিআরসিএ) নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।

ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

হাইকোর্টর রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার (৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।

আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্টর রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার আবেদন শুনানি নিয়ে শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে আদেশ দেন। কয়েক হাজার রিটকারীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান আইনজীবী।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এই সময়ে আদালত অবমাননার বিষয় নিষ্পত্তি না করে তারা শিক্ষক নিয়োগের কোনো বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়।

নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত কয়েক শতাধিক প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ ফরহাদ জানান, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল, সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে।

কিন্ত দুই বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৩০ হাজার প্রার্থীর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা।

আজ ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।