রাজশাহীতে বিচার বিভাগের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস’ উপলক্ষে রাজশাহী বিচার বিভাগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে রবিবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে মহানগর দায়রা জজ ওএইচএম ইলিয়াস হোসাইন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল বাহার, অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ রাজশাহীতে কর্মরত সকল বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সঞ্চালনা করেন যুগ্ম জেলা জজ সাদেকীন হাবীব বাপপী।

সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। অগ্নিঝড়া মার্চ এর প্রারম্ভ। এই দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে উচ্চারণ করেছিলেন তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য গুলি- ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর ঐ ঘোষণার পর সংগ্রাম মুখর এই জনপদের মানুষ প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বল্প পরিসরে আলোচনায় ৭ মার্চের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। ‘ম্যাগনা কার্টা’ কে যেমন মানবাধিকারের সনদ বলা হয় তেমনি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল বাঙ্গালীর মুক্তির সনদ। দিবসের গুরুত্ব বর্ণনা করে তিনি সকল বিচারকবৃন্দকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আরও কর্মোদ্যমী এবং যত্নবান হবারও আহ্বান জানান।

মহানগর দায়রা জজ ওএইচএম ইলিয়াস হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরে সভায় আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণ রাখা হয়েছে। অতএব বিচারক হিসেবে সবাইকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে পড়তে হবে এবং অনুধাবন করতে হবে। নেতা হিসেবে একটা জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন। পরবর্তিতে এই ভাষণকে কেন্দ্র করে পুরো জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গোলামীর শৃঙ্খল ভাংতে সহযোগীতা করে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ।