কারাবিহীন সাজা-প্রবেশন ও এর উদ্দেশ্যে এবং আপীল বিভাগের নির্দেশনা

চন্দন কান্তি নাথ:

প্রবেশন অর্থ “ পরীক্ষাকাল”। অপরাধীর চরিত্র সংশোধনের কালকে পরীক্ষাকাল বলা হয়। এই দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাকে বলা হয় প্রবেশন অফিসার। অপরাধীর চরিত্র সংশোধনের জন্য এটি একটি শিক্ষা ও পুনর্বাসনমূলক পদ্ধতি।অপরাধ একটি সামাজিক ব্যাধি। অনেকে শৈশব থেকেই অপরাধ শুরু করে। কখনও অজ্ঞানতার বশবর্তী হয়ে আবার কখনও সজ্ঞানে। এটি সমাজ ও আইনের চোখে অন্যায়। তাই প্রতিটি সভ্য দেশে অপরাধীদের বিচার করে তাদের শাস্তি প্রদানের বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শাস্তি অপরাধ প্রতিরোধে সহায়ক না হয়ে অপরাধ বিস্তারে সহায়ক হয়। তাই সম্প্রতি চিন্তাবিদগণ, অপরাধ বিশেষজ্ঞগণ ও সমাজ বিজ্ঞানীগণ তাঁদের অভিজ্ঞতার আলোকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, শারীরিক শাস্তি বিধানের মাধ্যমে অপরাধীদের সংশোধন করা সম্ভব নয়। কঠোর শাস্তি বিধান ভীতিপ্রদ উদাহরণ হিসাবে ভবিষ্যতে কোনোক্রমেই কোনো অপরাধীর অপরাধ প্রবণতা নিবৃত্ত করে না, অপরাধীকে সমাজে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে পুনর্বাসনেরও কোনো সম্ভাবনা থাকে না। একজন কিশোর অপরাধীকে যখন অপরাধের দায়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয় তখন একদিকে তার সমাজের প্রতি শুত্রুতামূলক মনোবৃত্তি সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে কারাগারে থাকাকালীন দাগী অপরাধীদের সংস্পর্শে এসে তাদের কাছ থেকে মারাত্মক ধরনের অপরাধের অভিজ্ঞতা ও ক্ষতিকর কুশিক্ষা লাভ করে থাকে। এর ফলে কারামুক্ত হয়ে সমাজের চোখে সে দাগী বিবেচিত হয় এবং সমাজের সকলের ঘৃণার পাত্র হয়ে দাঁড়ায়। সমাজ তার উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে সে বঞ্চিত হয়। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধ বিশেষজ্ঞগণ, আধুনিক চিন্তাবিদগণ ও সমাজকর্মীগণ অপরাধ সংশোধনের ক্ষেত্রে শাস্তি দান ব্যবস্থার পরিবর্তে গঠনমূলক সংশোধন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। তাদের গবেষণা ও চিন্তাভাবনার ফলে বর্তমান যুগে অপরাধ সংশোধন ব্যবস্থার নতুন দর্শন সৃষ্টি হয়েছে । অপরাধীদের দীর্ঘকালীন শাস্তি না দিয়ে তার পরিবর্তে প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসাবে তাদের সমাজে পুনর্বাসন ও তাদের ভোগের জন্য কারাগারে প্রেরণ না করে তাকে সমাজের নিজ পরিমন্ডলে রেখে প্রবেশন অফিসারের অধীনে সংশোধনের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ন্যস্ত করাকে প্রবেশন বলে।
আধুনিক প্রবেশনের গুরু হিসাবে যুক্তরাস্ট্রের বোস্টন শহরের জুতা প্রস্তুতকারক জন অগাষ্টাস স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি ১৮৪১ সালে পরীক্ষামূলক তার দোকানের এক মদ্যপ কর্মচারীকে প্রবেশনে এনে বেশ সুফল পান। তখন হতেই এ প্রবেশনের শুরু। প্রবেশনের মূল উদ্দেশ্য নিম্মরুপ:
১। সামাজিক ও মনস্তান্তিক চিকিৎসার মাধ্যমে অর্থাৎ অপরাধের মূল কারণ সমূহ নির্ণয়পূর্বক অপরাধীর সংশোধনের ব্যবস্থা করা।
২। কিশোর অপরাধীকে কারাগারের অপ্রীতিকর পরিবেশ থেকে দূরে রাখা।
৩। সংশোধনের পর অপরাধীকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা।
৪। অপরাধীদের পিতা-মাতা এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের মন থেকে বিরূপ মনোভাব দূর করে তাদেরকে অপরাধীদের প্রতি সহানুভূতিশীল করে তোলার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৫। অপরাধীকে সমাজে উৎপাদনশীন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ দান করা।
৬। সম্ভব হলে অপরাধীদের বিভিন্ন প্রকার কারিগরি প্রশিক্ষণকার্যে নিয়োজিত করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
৭। অপরাধের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করা। অপরাধ ব্যক্তিকে সমাজ জীবনে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে জীবনটাকে কলুষিত করে; আর এ ব্যাপারে অপরাধীকে সচেতন করে তাকে অপরাধ থেকে দূরে রাখা।
৮। সামান্যতম ভুলের জন্য অপরাধীকে “দাগী আসামি” হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা।৯। অপরাধীকে প্রথমবারের মতো আত্মশুদ্ধি করতে সুযোগ দেওয়া ও সাহায্য করা।
১০। সমাজে অপরাধের সংখ্যা উত্তরোত্তর কমিয়ে আনা।

১৯৬০ সনের দ্যা প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০ আইন অনুযায়ী দুইভাবে প্রবেশন মঞ্জুর করা হয়। প্রবেশন অফিসারের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রবেশন মঞ্জুর করা যায়। এই প্রবেশন পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তি আইনের দৃষ্টিতে যখন দোষ সাব্যস্ত হয় তখন বিচারক চূড়ান্ত বিচার স্থগিত রেখে তথা দোষী সাব্যস্থ করার পর দন্ড প্রদানের আগে কর্তব্যরত প্রবেশন অফিসারকে অপরাধীর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা অনুসন্ধান করে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট করতে বলেন। প্রবেশন অফিসার নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অপরাধীর চরিত্র, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা, পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে তার সম্পর্ক ইত্যাদি তদন্ত করেন। অপরাধীর দৈহিক অবস্থা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, মানসিক অবস্থা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ এই তদন্তের বিষয়বস্তু। তদন্ত করে প্রবেশন অফিসার যদি বুঝতে পারেন যে অপরাধী সংশোধনের আওতায় আছে তাহলে তিনি প্রবেশনের জন্য সুপারিশ করে থাকেন। অন্যথায় অপরাধীকে প্রাপ্ত শাস্তি ভোগ করতে হয়। প্রবেশন অফিসারের রিপোর্ট অপরাধীর শাস্তি স্থগিত করার পক্ষে হলে তার জন্য বিচারক প্রবেশন মঞ্জুর করে থাকেন।
আবার ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারক স্বউদ্যোগে ও প্রবেশন মঞ্জুর করতে পারেন। যখন কোনো বিচারক প্রবেশন অধ্যাদেশের ৫ ধারা মতে দেখতে পান যে, অপরাধী নির্দিষ্ট কতিপয় অপরাধ ছাড়া অন্যান্য অপরাধে প্রথমবারের মত দণ্ডিত হয়েছে, তখন তিনি মামলার কাগজ ও আসামির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দোষী সাব্যস্থ করার পর দন্ড প্রদানের আগে কতিপয় শর্তসাপেক্ষে ০১ থেকে ০৩ বছরের জন্য প্রবেশন মঞ্জুর করতে পারেন।
প্রবেশন আইন অনেক আগেই প্রনীত হলেও বাংলাদেশের আদালত গুলো উক্ত আইন প্রয়োগ করতনা। সে প্রেক্ষাপটে গত ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখে তৎকালীন মাননীয় রেজিস্ট্রার জেনারেল ড: মো: জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত সার্কুলার দিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জানান দন্ডীত অপরাধীদের সমাজের মূল পূনর্বাসনের এবং সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ফৌজদারী আদালত সমূহকে উপর্যুক্ত ক্ষেত্রে দ্যা প্রবেশন অফ অফেন্ডার্স অডিন্যান্স-১৯৬০ এর বিধানাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। সার্কুলারে আরো বলা হয় উক্ত নির্দেশনাবলী অনুসরনে কোন সমস্যা বা অসুবিধা দেখা দিলে বা কোন বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃকউক্ত আইন প্রতিপালনে অনীহা বা গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে সুপ্রীমকোর্টের নজরে আনার জন্য স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে মাননীয় বিচারপতি জাফর আহমদ মতি মাতবর বনাম রাস্ট্র মামলায় গত ০৮/১১/২০২০ইং তারিখে জনৈক মো: মতি মাতবরকে মাদক মামলায় তার ৭৫ বছরের মাকে সেবা করা, পুত্র ও কন্যাকে পড়ালেখা করানোএবং কন্যাকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার শর্তে প্রবেশন মঞ্জুর করেন। এর আগে ২০০৬ সনে মাননীয় হাইকোর্ট ৩২৩ ধারায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামীকে ২বছরের জন্য প্রবেশন মঞ্জুর করেছিলেন। আর ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের খুবই কম সংখ্যক আদালতপ্রবেশন মঞ্জুর করছেন। তবে মাননীয় আপীল বিভাগ ২৮/০১/২০২১ইং তারিখে মাননীয় বিচারপতি মো: ইমান আলী ও মাননীয় বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর বেঞ্চ বাংলায় লিখিত রায়ে নূর মোহাম্মদ বনাম রাস্ট্র এবং অন্যান্য মামলায় প্রবেশন সংক্রান্তে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালত বলেন,“ আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, বিচারিক আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ও আপীল আদালতের বিজ্ঞ বিচারকগণ সম্পূর্ণরূপে ভুলে গেছেন যে, আমাদের দেশে “প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০” নামে একটি আইন আছে এবং বর্তমান মামলার প্রেক্ষাপটে সেই আইনের ৫ ধারা প্রয়োগযোগ্য। যখনই বিজ্ঞ বিচারক ৩২৫ ধারার অপরাধে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করলেন তখনই উনার উচিত ছিল “প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০” -এর ৫ ধারা বিবেচনা করা। মামলার বিষয়বস্তু থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এই ঘটনা ঘটেছিল দুই প্রতিবেশীর মধ্যে তুচ্ছ একটা ঘটনার জের ধরে। এইসব ক্ষেত্রে আসামীকে ১(এক) বছরের জন্য জেলে না পাঠিয়ে প্রবেশনে রাখা সমীচিন ছিল।”
আদালত আরো বলেন, “ এই প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০-এর বিধানাবলী বিচারিক আদালত, আপীল আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য। অথচ পূর্বোক্ত আদালত সমূহের তিনটি রায় থেকে বোঝা যাচ্ছে না যে, বিজ্ঞ বিচারকগণ এই আইনের বিষয়ে আদৌ অবগত আছেন কিনা। যদি এই আইন প্রয়োগের বিষয়ে ধারণা থাকত তাহলে রায়ের মধ্যে বলা থাকতো কেন এই আইন প্রয়োগ করা সমীচিন নয় এবং যদি এই আইন সঠিকভাবে বিচারিক আদালতে প্রয়োগ করা হতো তাহলে এই ধরণের মামলা আপীল বিভাগ পর্যন্ত আসতো না। আমরা আরো দুঃখের সাথে বলতে চাচ্ছি যে এ ধরণের মামলার “প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০” প্রয়োগ না করা শুধু দুঃখজনকই নয় প্রচলিত আইনের পরিপন্থী।”
আদালত আরো উল্লেখ করেন “ ‘প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০’ ধারা ৩(১)(ক) অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগেরও এই আইনের বিধান প্রয়োগ করার এখতিয়ার আছে। নজিরস্বরূপ ৫৮ ডিএলআর, ৩২২-এপ্রকাশিত আঃ খালেক বনাম হাজেরা বেগম এবং আরেকজন মামলার রায় দেখা যেতে পারে।এই “প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০” ধারা ৩(১)(ক)-এ বলা হয়েছে কোন কোন আদালত এই আইন প্রয়োগ করতে পারবে। যথাঃ (ক) হাইকোর্ট বিভাগ; (খ) দায়রা আদালত ; (ঙ) ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট; এবং (চ) বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যান্য ম্যাজিস্ট্রেটগণ। দায়রা আদালত হিসেবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যেকোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল এবং ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত যেকোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল-এই আইনের বিধান প্রয়োগ করতে পারবে। সুতরাং বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ -এর ধারা ২৯, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ১৯৯২-এর ধারা ১৫(১), সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৭(৩), নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫-এর ধারা ২৩(১), জন নিরাপত্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ২০০০-এর ধারা ২১(১), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ধারা ২৫(১), ক্রিমিনাল ল এ্যামেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট, ১৯৫৮-এর ধারা ৬(১)(ক) এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন এ্যাক্ট, ১৯৪৭-এর ধারা ২৩ক(৩)-এ উল্লেখিত বিধান অনুসারে ক্ষেত্রমতে ট্রাইব্যুনাল অথবা আদালতসমূহ দায়রা আদালত বলে গণ্য হবে। দ্রুত বিচার আইন, ২০০২-এর ধারা ১২(২) অনুসারে ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বলে গণ্য হবে এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন এ্যাক্ট, ১৯৪৭-এর ধারা ২৩ক(৩) অনুসারে ক্ষেত্রবিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা দায়রা আদালত বলে গণ্য হবে। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে যে, কোন কোন বিশেষ আইনে অপরাধের ক্ষেত্রেও “প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০” প্রয়োগ করা যাবে। এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নিম্ম আদালতের ২(দুই) জন বিজ্ঞ বিচারক এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারক কেউই “প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০” অথবা আপোষ মীমাংসার ব্যাপারে চিন্তা করেননি এবং দন্ড ও সাজা বহাল রাখেন।”
কুমিল্লাতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ম আদালতে ইতিমধ্যে অনেকগুলো প্রবেশন মঞ্জুর কর হয়েছে। প্রবেশন আইন প্রয়োগে প্রথমদিকে কিছু ভুলভ্রান্তি হলেও পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সঠিকভাবে উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১১ এর আলোকে মাননীয় আপীল বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক মাননীয় আপীল বিভাগের রায়ে উল্লেখিত বাংলাদেশের আদালতগুলো ১৯৬০ সনের দ্যা প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০ আইন অনুযায়ী প্রবেশন মঞ্জুর করবেন বলে দেশের জনগন আশা করে।

লেখক: সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,কুমিল্লা।