হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিবেদন: পাঁচ বছরে আদালতে ৩০ হাজার ধর্ষণ মামলা

দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত পাঁচ বছরে ৩০ হাজার ২৭২টি মামলা দায়ের হয়েছে বলে হাইকোর্টের নির্দেশে আসা এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পক্ষ থেকে পাঠানো ২০২০ সালের ২১ অক্টোবরের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত পাঁচ বছর সময়ের এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এছাড়া আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির নির্ধারিত দিনে বুধবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

এদিন পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকেও একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। সেই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রেখেছেন আদালত।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আইনজীবী অনীক আর হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

আইনজীবী অনীক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দাখিল করা প্রতিবেদনে এসেছে ধর্ষণের অভিযোগে গত পাঁচ বছরে ৩০ হাজার ২৭২টি মামলা আদালতে দায়ের হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনে ধর্ষণের ঘটনায় সালিস রোধে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপর বিবাদীদের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন এখনও আসেনি। আইন সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব এবং নারী ও শিশুবিষয়ক সচিবের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই দিন পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রেখেছেন আদালত।

ধর্ষণের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা, সালিস বা মীসাংসা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং ইতিপূর্বে এ বিষয়ে দেয়া তিনটি রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে গত বছরের ১৯ অক্টোবর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে একটি রিট আবেদন করা হয়।

এর শুনানি নিয়ে গত বছরের ২১ অক্টোবর আদালত রুলসহ আদেশ দেন। ধর্ষণের ঘটনায় সালিস বা মীমাংসা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে সেদিন হাইকোর্ট ধর্ষণের ঘটনায় গত পাঁচ বছরে সারাদেশের থানা, আদালত ও ট্রাইব্যুনালে কতগুলো মামলা হয়েছে, তা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিবেদন জমা পড়ে।