প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

দেশের কারাগারগুলোতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিপরীতে মামলা দুই হাজারেরও বেশি

দেশের কারাগারগুলোতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিপরীতে মামলা আছে দুই হাজার ১৩৭টি। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নিয়ে আলাদা সেল গঠন করে হলেও আদেশগুলোর নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছে দুই হাজার ১০ জন। কামিশপুর কারাগারে গত ১৫ জুলাই রাতে এক জেএমবি সদস্যের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গত জুনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক সভায় এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে কারা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই নির্দেশনা পাওয়ার পর কারা অধিদফতরের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মামলা নিষ্পত্তি করতে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে জানানো হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন কারা অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

উচ্চ আদালতে চলমান ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল মামলাগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়, সেজন্য আইন ও বিচার বিভাগের সঙ্গে দাফতরিক ও ব্যক্তিগত যোগাযোগও অব্যাহত রাখা হচ্ছে। তবে এখনও আলাদা সেল গঠন করা হয়নি।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের কারাগারগুলোতে এ পর্যন্ত ৪৫৩ জন বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ঢাকা, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার, হাইসিকিউরিটি কারাগার, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ কয়েকটি জেলা কারাগারে সাধারণত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে অনেক জঙ্গি ও যুদ্ধাপরাধীও রয়েছে।