চন্দন কান্তি নাথ: সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা।

বিচারে ঘটনার উপলক্ষ, কারণ এবং আচরণ ইত্যাদি সংক্রান্তে প্রাসঙ্গিকতা

চন্দন কান্তি নাথ:

বিচারের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ। অন্য আইনে সাক্ষ্য এর সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকলে এটি সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। সাক্ষ্য আইন অনুসারে বিচার্য বিষয় ছাড়াও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়া যাবে। তবে সাক্ষ্য আইনে বর্ণিত প্রাসঙ্গিক বিষয় ও বিচার্য বিষয় ছাড়া অন্য কোন প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্যরুপে বক্তব্য দেওয়া যায় না। সাক্ষ্য আইনে ৫ ধারা বলা হয়েছে, ‘Evidence may be given of Facts in Issue and Relevant Facts’ সাক্ষ্য আইনের ৫-৫৫ ধারায় উক্তরুপ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।সাক্ষ্য আইনে সাক্ষ্য এর সংজ্ঞা, সাক্ষ্য এর প্রকার যথা-মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষ্য, বস্তুগত প্রদর্শন, তদন্ত ও পরিদর্শনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত, বিচারিক দৃষ্টি, ৩৪২ ধারায় আসামীর বয়ান, সাক্ষীর হাবভাব, May presume, Shall Presume, Conclusive Proof, প্রমাণিত, অপ্রমাণিত, প্রমাণিত নয় ইত্যাদি বিষয়গুলো যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বিচার্য বিষয় এবং সাক্ষ্য আইনের ৫-৫৫ ধারায় বর্ণিত বিচার্য বিষয়ে প্রাসঙ্গিকতাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আর আদালতকে আইন সাক্ষ্য আইনের ১৩৬ ধারায় সাক্ষ্য এর গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই উপরোক্ত প্রাসঙ্গিকতা এবং অন্য বিষয় সম্পর্কে আদালতের ভাল ধারণা থাকতে হয়। বিজ্ঞ আইনজীবীগণেরও উপরোক্ত বিষয় গুলি সম্পর্কে ধারনা রাখলে আদালতে অনর্থক সময় নষ্ট হয় না।

বিচার্য বিষয়ের উপর সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা স্বাভাবিক। আদালতে বাদী ও বিবাদী প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিক অনেক কথা বলতে চায়। যে বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে চায়, সে কথার সূত্র ধরে অনেক কথা বলতে চায়। সেখান হতে বিচার্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয়েই আদালত সাক্ষ্য নেয়। সাক্ষ্য আইনের ৭ ধারায় সে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হলো বিচার্য বা প্রাসঙ্গিক বিষয় সমূহের উপলক্ষ, কারন বা ফলাফল। ৮ ধারায় উদ্যেগ, অভিপ্রায় গঠনকারী বিষয়াবলী আলোচনা করা হয়েছে। ৯ ধারায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে স্থান, সময়, ব্যক্তি ও বস্তুর মত প্রাসঙ্গিক জিনিসগুলো ব্যাখ্যা বা প্রবর্তন করবার প্রয়োজনীয় বিষয় সমূহ। নিচের উদাহরণ গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লে সাক্ষ্য আইনে বর্ণিত ঘটনার উপলক্ষ, কারণ এবং আচরণ ইত্যাদি সংক্রান্তে প্রাসঙ্গিকতার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যায়।

যেমন খবিরকে হত্যা করার অপরাধে করিম অভিযুক্ত হয়েছে। এখন করিম যেমন ভাবেই খবিরকে মারুক না কেন, ঘটনা ঘটার আগে বা পরে, মারার সময় যারা দাড়িয়ে ছিল, কিছু বলেছিল, তাএকই কাজের সংগেসম্পর্কিত হিসাবে প্রাসঙ্গিক হয়। ইলিয়াছ বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সৈন্যদিগকে আক্রমন করেছে, যেখানে সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে, সেখানে করিম ঘটনা গুলোর সময় উপস্থিত না থাকলেও তথাপি তার কাজটি একই কাজের সম্পর্কিত হিসাবে প্রাসঙ্গিক হয়। একইভাবে রাফি এবং রাব্বির মধ্যে একটি পত্রালাপের মধ্যে মানহানির বক্তব্যে থাকার অভিযোগ রয়েছে, রাফিরাব্বির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যে বিষয়ে মানহানির কথা উঠেছে সে বিষয় সংক্রান্তে তাদের মধ্যে আরো চিঠি আদান প্রদান হয়েছে। কিন্তু বাকী পত্রগুলোতে মানহানিকর বক্তব্যে ছিলনা। তথাপি সমস্ত পত্রগুলিই প্রাসঙ্গিক।

আবার যদি প্রশ্ন আসে খবিরের আদেশকৃত নির্দিষ্ট দ্রব্য সরবরাহ করেছিল কিনা। কিন্তু মাঝখানে উক্ত দ্রব্যগুলো অনেকের কাছে সরবরাহ হয়েছিল।প্রথম প্রশ্নটি বিচার্য্য বিষয় হলেও আদালতের কাছে ডেলিবারির প্রত্যেকটি বিষয়টি প্রাসঙ্গিক। যদি প্রশ্ন হয় শাওন সাকিবের দ্রব্য দস্যুতার দ্বারা লুন্ঠন করেছে কিনা। উক্ত দস্যুতার ঘটনা ঘটবার কিছু সময় পূর্বে সাকিব যে টাকা নিয়ে মেলায় গিয়েছিল এবং সেটা দ্বিতীয় একজন তা দেখেছিল। অথবা তৃতীয়কারো নিকট এই টাকার কথা উল্লেখ করেছিল। এই সবগুলো বিষয় প্রাসঙ্গিক। প্রশ্ন হচ্ছে আরিফ আদরকে হত্যা করেছিল কিনা। যে স্থানে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বা তার নিকট স্থানে ধস্তাধস্তির প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে-তা সবগুলো প্রাসঙ্গিক বিষয়। প্রশ্ন হচ্ছে, রহমান আঞ্জুমানের উপর বিষ প্রয়োগ করেছে কিনা। বিষয়ক্রিয়া দেখা যাওয়ার পূর্বে আঞ্জুমানের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং অভ্যাস রহমানের জানা ছিল। যার ফলেবিষ প্রয়োগের প্রভাব সৃষ্টি হয়েছিল। সে কারনে উক্ত বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিক বিষয়। শংকরকে হত্যা করবার দায়ে বিধানেরবিচার হচ্ছে। বিধান বাধনকে হত্যা করেছিল এবং এই কথা প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে শংকর টাকা নেয়ার চেষ্টা করেছিল- উভয় বিষয় প্রাসঙ্গিক। গগন সম্রাটের বিরুদ্ধে টাকা আদায়ের জন্য একটি মামলা করে। সম্রাট টাকা নেয়ার সময় একটি বন্ড দিয়েছিল। পরে সম্রাট সে বন্ড দেয়ার কথা অস্বীকার করে। যে সময় বন্ড দেয়ার কথা সম্রাট অস্বীকার করে, সে সময় কোন বিশেষ কারনে সম্রাটের টাকার প্রয়োজন ছিল-এই বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিক।

আবার ফূর্তিকে হত্যা করবার দায়ে ফুয়াদের বিচার হচ্ছে। ফূর্তিকে যে বিষ দেয়া হয়েছিল, ফূর্তির মৃত্যুর পূর্বে ফুয়াদ তার অনুরুপ বিষ সংগ্রহ করেছিল-তা প্রাসঙ্গিক। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন একটি দলিল উইল কিনা। কথিত উইলের কিছুদিন পূর্বে তর্কিত উইলের অন্তর্ভুক্ত বিষয় সম্পর্কে রাজনারায়ন অনুসন্ধান করেছিল, উইল সম্পর্কে একজন এডভোকেটের সংগে পরামর্শ করেছিল এবং উইলের কতগুলো দফা মুসাবিদা করেছিল। কিন্তুু রাজনারায়ন উক্ত বিষয়গুলো অনুমোদন করেনি। এই বিষয়গুলো উক্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। আকাশ কোন অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অপরাধ হওয়ার পূর্বে বা অপরাধের সময় বা অপরাধ ঘটার কিছুক্ষণ পরে আকাশ কিছু সাক্ষ্য সংগ্রহ করে। যা মামলায় তার পক্ষে প্রভাব ফেলবে অথবা সে সাক্ষ্য আকাশ বিনষ্ট করে বা সম্ভাব্য সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত হতে বাধা সৃষ্টি করে বা আদালতে অনুপস্থিত হতে ব্যবস্থা করে বা সাক্ষীদিগকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে অনুপ্রাণিত করে- সবগুলি ঘটনাই প্রাসঙ্গিক। প্রশ্ন হচ্ছে-রমজান রকিবের উপর দস্যুতা করেছিল কিনা। রকিবের উপর দস্যুতা হওয়ার পর রমজানের উপস্থিতিতে গহর বলেছিল যে, কেউরকিবের উপর দস্যুতা করেছে, তাদেরখুঁজতে পুলিশ আসছে, এরপর পরেই রমজান দৌড়ে পালিয়ে যায়-এইগুলি প্রাসঙ্গিক বিষয়। প্রশ্ন হচ্ছে-সাকিব শাওনের কাছেপাঁচলক্ষ টাকার ঋণি কিনা। সাকিব শান্তর কাছে টাকা ধার চেয়েছিল। সাকিবের উপস্থিতি ও শ্রুতি গোচরেশাওনইজ্জত আলীকে বলেছিল, “আমি সাকিবকে বিশ্বাস না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। কারন সে আমার কাছে (শাওনের) নিকট পাঁচলক্ষ টাকা ঋণি হয়।” অত:পর কোন উত্তর না দিয়ে সাকিব চলে গিয়েছিল-এইগুলি প্রাসঙ্গিক বিষয়।

প্রশ্ন হচ্ছে- সজ্জন অপরাধ করেছে কিনা। অপরাধ সম্পর্কে তদন্ত হচ্ছে। এই মর্মে একটি সতর্কবাণী সম্বলিত চিঠি পেয়ে সজ্জন আত্মগোপন করল।আত্মগোপন এবং চিঠির বিষয়বস্তুু প্রাসঙ্গিক। ইমরান একটি অপরাধ অভিযুক্ত হয়েছে। অপরাধটি সংঘটিত হওয়ার পর ইমরান আত্মগোপন করেছিল। উক্ত অপরাধমূলক কাজের মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পত্তি তার দখলে ছিল কিংবা উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়ের অর্থ তার দখলে ছিল। অথবা উক্ত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময়ব্যবহৃত হয়েছে বা হয়ে থাকতে পারে। এমন কোন জিনিস ইমরান লুকাতে চেষ্টা করেছিল। সব গুলি বিষয় প্রাসঙ্গিক। প্রশ্ন হচ্ছে- ইয়াসমিন ধর্ষিতা হয়েছিল কিনা। কথিত ধর্ষনের পরে সে অপরাধটি সম্পর্কে নালিশ করে। সে নালিশ, নালিশের ঘটনা এবং অবস্থার যে বর্ণনা ইয়াছমিন দিয়েছে- সবগুলি প্রাসঙ্গিক। প্রশ্ন হচ্ছে-শিহাবের উপর দস্যুতা হয়েছিল কিনা।কথিত দস্যুতার পরে শিহাব নালিশ দায়ের করে এবং যে পরিস্থিতিতে যে নালিশ করে ও নালিশের ঘটনা বিবরণ দেয় সেগুলো প্রাসঙ্গিক। তবেকোন নালিশ দায়ের না করে ইয়াসমিনযদি বলে যে তাকে ধর্ষন করা হয়েছে বা শিহাবের উপর দস্যুতা হয়েছিল-উভয় ক্ষেত্রে ভিকটিম মারা গেলে সাক্ষ্য আইনের ৩২ ধারার ১ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যুকালীন ১৫৭ ধারা অনুসারে সমর্থনমূলক সাক্ষ্য হিসাবে প্রাসঙ্গিক হলেও সাক্ষ্য আইনের ৮ ধারা অনুসারে আচরন হিসাবে প্রাসঙ্গিক নয়।

প্রশ্ন হচ্ছে- একটি দলিল বাদলের উইল কিনা, তর্কিত উইলের তারিখে বাদলের সম্পত্তির ও পরিবারের অবস্থা প্রাসঙ্গিক বিষয় হতে পারে। একটি অসম্মানজনক আচরণের জন্য ‘ইলিয়াছ’ কে দায়ী করে সোহাগ ইলিয়াছের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করল। যে সময় মানহানির বিষয় প্রকাশিত হয়েছিল, পক্ষগণের তৎকালীন অবস্থা ও সম্পর্ক বিচার্য বিষয় প্রবর্তনের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে। আনন্দ ও বাবুলের মধ্যে যে বিষয় নিয়ে বিবাদ আছে, তা কথিত মানহানির সাথে সম্পর্ক না থাকলেবিবাদ সম্পর্কে বাবুলের কোন বিবরণ অপ্রাসঙ্গিক। তবে বিবাদের ফলে যদি আনন্দ ও বাবুলের মধ্যকার সম্পর্ক প্রভাবিত হয়, তা হলে তাদের মধ্যে বিবাদ আছে-এটি প্রাসঙ্গিক বিষয় হতে পারে। আরিফ কোন একটি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। অপরাধটি সংঘটিত হবার সাথে সাথে আরিফ তার বাড়ী হতে ফেরারী হল। এটি সাক্ষ্য আইনের ৮ ধারা অনুসারে বিচার্য বিষয়ের পরবর্তী আচরণ ও বিচার্য বিষয়ের দ্বারা প্রভাবিত আচরণ হিসাবে প্রাসঙ্গিক ঘটনা। যে সময় সে গৃহত্যাগ করে, তখন তার গন্তব্যস্থানে আকস্মিক ও জরুরী প্রয়োজন ছিল। এটি তার আকস্মিক গৃহত্যাগের ব্যাখ্যা মূলক ঘটনা হিসাবে প্রাসঙ্গিক। যে কাজ উপলক্ষ্যে, সে গৃহত্যাগ করে তার বিস্তারিত বিবরন প্রাসঙ্গিক নয়। তবে কাজটি যে আকস্মিক ও জরুরী ছিল, তা দেখাবার জন্য কাজের যতটা বিবরণ প্রয়োজন-তা প্রাসঙ্গিক।

গৌতম এর সাথে সম্পাদিত গহর এর চাকুরির চুক্তি ভঙ্গ করার জন্য গহর কে প্ররোচনা প্রদানের অভিযোগে রিচার্ড এর বিরুদ্ধে গৌতম মামলা দায়ের করল। গৌতম চাকুরী ত্যাগ করে গহর গৌতমকে বলেছিল, “ রিচার্ড আমাকে আরও ভাল শর্তে চাকুরীর প্রস্তাব দেওয়ায় আমি আপনার কাজ ছেড়ে দিলাম।” এই বিবৃতি গহরের আচরণের ব্যাখ্যা হিসাবে প্রাসঙ্গিক ঘটনা। গহর এর আচরণ বিচার্য বিষয় হিসাবে প্রাসঙ্গিক। চুরির দায়ে অভিযুক্ত সায়মন্ডকে দেখা গেল যে, সে অপহৃত সম্পত্তি রেজোয়ান কে দিল। আবার রেজোয়ান তা সায়মন্ডের স্ত্রীকে দিল। দেওয়ার সময় রেজোয়ান বলল,“সায়মন্ড বলে দিয়েছে আপনি তা লুকিয়ে রাখবেন।” লেনদেন কার্যের একটি অংশের ব্যাখা হিসাবে রেজোয়ানের এই বিবৃতি প্রাসঙ্গিক। দাঙ্গা করবার অভিযোগে জয়নালের এর বিচার হচ্ছে। জনতার পুরোভাগে থেকে সে অগ্রসর হচ্ছিল বলে প্রমাণিত হল। জনতা যে সকল ধ্বনি দিচ্ছিল, কাজটি প্রকতির ব্যাখ্যা হিসাবে এইগুলি প্রাসঙ্গিক।

উপরোক্ত উদাহরন সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকলে কোন মামলারঘটনার উপলক্ষ, কারণ এবং আচরণ ইত্যাদি সংক্রান্তে জেরা ও জবানবন্দির ক্ষেত্রেও ভাল করা যায়।

লেখক- সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা।