মায়ের দুধ পানে নিরাপদ পরিবেশ চেয়ে ৯ মাসের শিশুর রিট, যে রায় দিলেন হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের কথাগুলো সত্য হলে এটা খুবই নিন্দনীয়, অপ্রত্যাশিত: হাইকোর্ট

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার মুকুলের ‘অডিও ক্লিপের কথাগুলো যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এটা খুবই নিন্দনীয়, অপ্রত্যাশিত’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার মুকুলের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) এমন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালত বলেছেন, একজন অধ্যক্ষের কাছে এ ধরনের কথা আশা করা যায় না।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। অধ্যক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার।

আদালতের আদেশ অনুসারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, পত্রিকায় খবর বের হওয়ার পরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি।

তখন আদালত বলেন, এখন তো লকডাউন শেষ। আমরা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করলাম। ৩০ (আগস্ট) তারিখের মধ্যে আমরা যেন একটা রিপোর্ট পাই। বিষয়টি আপনি মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এ রিট করেন। এরপর সোমবার হাইকোর্ট মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়ে মুলতবি করেছিলেন।

আবেদনে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের ‘অসাদাচরণ ও দুর্নীতির’ বিষয়ে তদন্ত করতে বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম চালু না করায় বিবাদীদের ব্যর্থতা এবং নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম শুরু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানানো হয়েছে।