ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম আশরাফ

নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আদালত অবমাননা থেকে অব্যাহতি পেলেন আইনজীবী আশরাফ

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে ফেসবুকে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম নিঃশর্ত নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এরপর সতর্ক করে আইনজীবীকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে আদেশে পর্যবেক্ষণ থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ।

আদালতে আজ শুনানি করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, আইনজীবীর বয়স কম। আর যেহেতু ক্ষমা চেয়েছে তাই আপনারা এটি বিবেচনা করতে পারেন। এর আগে তিনি গত ৮ আগস্ট আদালত অবমানার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, সেটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সেটি প্রত্যাহার করে আজ তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

এর আগে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে ফেসবুকে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফকে গত ১৫ জুলাই তলব করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, আপিল বিভাগে হাজির হয়ে সেই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তাকে।

তলবের নির্ধারিত দিনে তার আইনজীবীর মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখা জমা দিয়েছিলেন গত ৮ আগস্ট। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ধার্য দিনে বিষয়টি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় সবার শীর্ষে ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বিষয়টির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে (এক নম্বর বিচার কক্ষে) সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্য দিতে বলা হয়। সেই সঙ্গে ওইদিন পর্যন্ত তাকে আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত।