আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

সেই বিচারকের ‘পাওয়ার সিজ’ করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেবো: আইনমন্ত্রী

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচারকের পাওয়ার সিজ (ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া) করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের স্মরণসভা শেষে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশকে মামলা না নিতে বিচারিক আদালতের রায়ের সুপারিশের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি উনার রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। অবজারভেশনে এ সম্পর্কিত উনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এ নিয়ে বলতে পারি, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। এবং এই কারণে আগামীকাল প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেজন্য একটা চিঠি লিখছি।

এর আগে, গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে আদালত পুলিশের উদ্দেশে এ পরামর্শ দেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় দেন। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।

এদিকে বনানীর রেইন্ট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছে নারীরা। তাই রবিবার সকালে আদালত প্রাঙ্গনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে তারা। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীতে যৌন নিপীড়ন এবং ধর্ষণবান্ধব সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিলের দাবিতে ‘শেকল ভাঙ্গার পদযাত্রা’র পর সংসদ ভবনের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা। এদিন রাতে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। পরে এটি সিটি কলেজ, কলাবাগান হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। গৃহ, কর্মস্থল, গণপরিবহনে নারীর জন্যে নিরাপদ বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘শেকল ভাঙ্গার পদযাত্রা’ নামক ওই প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারীরা। এ সময় তারা নানা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।