প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (ফাইল ছবি)
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (ফাইল ছবি)

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বিদায় সংবর্ধনা আজ

দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের শেষ কর্ম দিবস আজ। এ উপলক্ষে তাঁকে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টায় আপীল বিভাগের এজলাসে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপীল ও হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতি এবং বিপুল সংখ্যক আইনজীবীর উপস্থিত ছিলেন।

নিয়ম অনুযায়ী বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাওয়ার কথা প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের। সে অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ ডিসেম্বর তাঁর শেষ কর্ম দিবস। কিন্তু সে সময় কোর্টের অবকাশ থাকায় আজ প্রধান বিচারপতির শেষ কর্ম দিবসে তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) পদত্যাগ করার ৮৫ দিনের মাথায় ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরের দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।

জন্ম ও পরিচয়

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের, দেওভান্ডার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী ও মায়ের নাম বেগম কাওসার জাহান।

শিক্ষাজীবন

সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের শিক্ষা জীবনের কেটেছে কুমিল্লা শহরে। কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে ১৯৭২ সালে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা এবং একই কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৯৮০ সনে কুমিল্লা আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এছাড়াও তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আফ্রিকান স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে ছয় মাসের ‘কমনওয়েলথ ইয়াং ল ইয়ার্স কোর্স’ সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন

১৯৮১ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। বিএসসি ও এলএলবি সম্পন্ন করে ১৯৮১ সালে জেলা জজ আদালতে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পান। এরপর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপীল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দু’বার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বিচারপতি পদে থাকা যায়। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।