অগ্রক্রয় কি, কেন, কিভাবে?
আইন-আদালত (প্রতীকী ছবি)

মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিকারে বৈষম্যবিরোধী আইন অনুমোদন

বৈষম্যবিরোধী আইন, ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইন অনুযায়ী, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকারে মনিটরিং কমিটি ও এ সক্রান্ত কার্যাবলী প্রতিরোধ এবং তাৎক্ষণিক প্রতিকার প্রদানের জন্য বৈষম্যবিরোধী সেল গঠন করা হবে।

জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভাকক্ষে আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অনেকগুলো আন্তর্জাতিক কনভেনশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে সব রকমের বৈষম্য নিরসন করা হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। তারই আলোকে এ আইন নিয়ে আসা হয়েছে।

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আইনের আলোকে বিভিন্ন পর্যায়ে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। যেমন- জাতীয়, বিভাগীয় ও জেলা বা যে পর্যায় পর্যন্ত সরকার চায়। তারা মনিটর করবে হিউম্যান রাইটসের কোনো ভায়েলেশন হচ্ছে কিনা।

তিনি জানান, এখানে একজন সভাপতি থাকবেন। আইনমন্ত্রী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন এবং লেজিসলেটিং বিভাগের একজন যুগ্মসচিব কমিটির সদস্য সচিব হবেন। এভাবে নিচের দিকে যতগুলো প্রশাসনিক ইউনিট আছে সেটা সরকার যে রকম প্রয়োজন মনে করবে সে রকম কমিটি করে দেবে। বিভিন্ন সময়ে সভাপতি সময় নির্দিষ্ট করে মনিটরিং মিটিং করবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী একটা সেল গঠন করা হবে। এই সেল বৈষম্যবিরোধী কার্যাবলী প্রতিরোধ এবং তাৎক্ষণিক প্রতিকার প্রদানের জন্য বৈষম্যবিরোধী জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা কমিটিসহ অন্যান্য কমিটি গঠন করবে। তারা জনগণের মধ্যে একটা সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যে কোনোভাবেই কোনো রকমের বৈষম্য করা যাবে না।

যদি কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করে তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে জেলা কমিটি ঘটনা তদন্ত করবে। জেলা কমিটি প্রতিকার প্রদানে ব্যর্থ হলে অভিযোগকারী বিভাগীয় কমিটির কাছে অভিযোগ দায়েরের ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করবে। বিভাগীয় কমিটি ব্যর্থ হলে ৪৫ দিন পরে জাতীয় কমিটি তদন্ত করে অ্যাকশন নেবে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করলে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা ডিসপোজাল করতে হবে। যদি ৯০ দিনের মধ্যে না পারে তাহলে সর্বোচ্চ ১৫ দিন বৃদ্ধি করে সেই মামলা শেষ করে দিতে হবে।

আইনে একটি বিধি করার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেই বিধি অনুযায়ী বৈষম্যের বিষয়গুলো হ্যান্ডেল করা হবে।