শুধু বয়স-শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় দণ্ডিত আসামিকে জামিন নয় : সুপ্রিম কোর্ট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

মণ্ডপে হামলা: বিচারিক তদন্তের আদেশ স্থগিত, রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ

দেশের ছয় জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, তাঁদের সম্পত্তি ও উপাসনালয়ে সহিংস হামলার ঘটনায় বিচারিক তদন্ত করতে হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ রোববার (৩০ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালত বলেছেন, হাইকোর্টে রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে। সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চকে স্বল্পসময়ে, সম্ভাব্য তিন মাসের মধ্যে রিটটি শুনতে ও নিষ্পত্তি করতে বলা হলো।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

এর আগে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ বিচারিক তদন্তের আদেশ দেন। গত ২৮ অক্টোবর বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ২১ ডিসেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে ২৩ জানুয়ারি আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

এর ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়ারি বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন রিট আবেদনকারীপক্ষ এক দিন সময়ের আরজি জানান, যা আদালত মঞ্জুর করেন। এরপর আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।

প্রেক্ষাপট

শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালে ছয় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত বছর ১৩ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত পূজামণ্ডপ-মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, তাঁদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। ছয়টি জেলা হচ্ছে- কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুর। 

এসব হামলা রোধে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। গত ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস রিটটি করেন। এতে হামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট চিফ মেট্রোপলিটন বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশে সংশ্লিষ্ট চিফ মেট্রোপলিটন বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।