নিজের আইনজীবীর সনদ বাতিল চেয়ে বার কাউন্সিলে ডেসটিনি এমডির আবেদন

কারাগার থেকে স্বপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে অভিযোগ করেছেন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। মক্কেলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে বার কাউন্সিল থেকে ওই আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল এবং তার সনদ বাতিল চেয়েছেন তিনি।

জেলে থেকে কারাবিধি মেনে অভিযোগ করেন ডেসটিনির এমডি। বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাক্টিশনার্স এবং বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ নম্বর ৩২ অনুযায়ী অভিযোগটি দাখিল করা হয়। বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বরাবর পাঠানো হয় এ অভিযোগ।

ওই আইনজীবীর নাম এম. মাইনুল ইসলাম। তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।

বার কাউন্সিল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অভিযোগে যা বলা হয়

আমি মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড, বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে কলাবাগান থানার ৩২ এবং ৩৩ নম্বর মোকদ্দমার পরিপ্রেক্ষিতে কারাগারে আছি।

কারাগারে থাকাবস্থায় আমার মোকদ্দমায় বিভিন্ন আইনি বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আইনজীবী হিসেবে এম. মাইনুল ইসলামকে নিয়োগ করি। নিয়োগ পেয়ে মামলা পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য নেন মাইনুল ইসলাম। এখনো আমার আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন তিনি।

সম্প্রতি আমার নিকট প্রকাশ পায় যে, আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলাম আমার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তিনি ব্যক্তির আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত হয়ে আমার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি এবং বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের নামে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন করেন। যার নম্বর ১১১০১/২০২১ এবং কোম্পানি ম্যাটার নম্বর ৩০৮/২০২১।

একই সঙ্গে ২০২১ সালের নভেম্বরে নিজেকে ডেসটিনি এবং বৈশাখী মিডিয়ার আইন উপদেষ্টা হিসেবে একটি দৈনিক পত্রিকায় ভুয়া ও বেআইনি নোটিশ দেন। যা তার পেশার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং আইন পরিপন্থী।

এমতাবস্থায় আইনজীবী মাইনুল ইসলামের কার্যক্রম তদন্ত করে বার কাউন্সিল থেকে তার সনদসহ সদস্যপদ বাতিলের জোর দাবি জানানো হয় আবেদনে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ করা হয়।

উল্লেখ্য, আইনি পেশায় থাকা অবস্থায় বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে বার কাউন্সিলে অভিযোগ করা যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আইনজীবীর সনদ স্থগিত বা বাতিলসহ বিভিন্ন সাজা দিয়ে থাকে।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ২৩ কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। মামলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।