উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের ৫ দফা অভিমত
বিচারপতি (প্রতীকী ছবি)

৭০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিরা

প্রধান বিচারপতিরা অবসরের পর গৃহ সহায়ক, গাড়ি চালক, দারোয়ান সেবাসহ বিভিন্ন সেবার জন্য ৭০ হাজার টাকা বিশেষ ভাতা পাবেন, এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে সোমবার (১৪ মার্চ) এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পেনশনযোগ্য কর্মকাল অর্থ প্রকৃত কর্মকাল এবং পূর্ণ বেতনে প্রত্যেক ছুটির মেয়াদে ৩০ দিন অথবা প্রকৃতপক্ষে গৃহীত ছুটির পরিমাণ উভয়ের মধ্যে যেটি কম, সেটি অন্তর্ভুক্ত হবে।

তিনি বলেন, কোনো বিচারক পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালে তার নির্ধারিত মাসিক বেতনের সমানহারে ছুটিকালীন বেতন প্রাপ্য হবেন। আর কোনো বিচারক অর্ধ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালীন আমাদের যে সরকারি কর্মচারীদের বিধান আছে, সে অনুযায়ীই উনারা ছুটি প্রাপ্য হবেন। এছাড়া কোনো বিচারক দায়িত্বকালীন আহত হয়ে অক্ষম হলে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রাপ্য হবেন। এক্ষেত্রে ফান্ডামেন্টাল রুলের ১৯৮৩’র বিধানই যথাসম্ভব প্রযোজ্য হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো বিচারক সহিংস ঘটনায় আহত বা নিহত হলে এ বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য বিধান উক্ত বিচারকের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ প্রযোজ্য হবে। আর কোনো বিচারক অবসর গ্রহণকালে ছুটি পাওনা সাপেক্ষে ১৮ মাসের ছুটি নগদায়নের সুবিধা পাবেন, যেটা সরকারি কর্মচারীরা পায়। এটা সুপ্রিম কোর্টের জাজদের বেলায় ছিল না। এখন যদি উনাদের ছুটি পাওনা থাকে, তাহলে উনারাও পাবেন।

আইনের খসড়ায় নতুন কী আছে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তার জীবদ্দশায় গৃহ সহায়ক, গাড়িচালক, দারোয়ান সেবা, সাচিবিক সহায়তা এবং অফিস কাম রেসিডেন্স রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা অবসরত্তোর বিশেষ ভাতা পাবেন।

এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেয়ার বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি আইনের মধ্যে থাকার দরকার নেই। তবে সরকার মনে করলে এক্সিকিউটিভ অর্ডার দিয়ে তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে।