পুলিশ (প্রতীকী ছবি)
পুলিশ (প্রতীকী ছবি)

চিকিৎসাধীন ভিক্ষুককে নির্যাতন ও গ্রেফতার: ৪ এসআই বরখাস্ত

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসাধীন এক ভিক্ষুক ও তার পরিবারের সদস্যদের শারীরিক নির্যাতন ও গ্রেফতারের ঘটনায় ৪ এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ২ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১১ মে) জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. নাছির উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- সরিষাবাড়ী থানার এসআই আলতাব হোসেন, এসআই সাইফুল ইসলাম, এসআই ওয়াজেদ আলী ও এসআই মুন্তাজ। এছাড়া কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ও নারী কনস্টেবল সাথী আক্তারকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি বাজার এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভিক্ষুক আব্দুল জলিল (৬৫) বিশ শতক জমিতে বসতভিটা বানিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছিলেন।

সম্প্রতি ওই জমি একই এলাকার প্রভাবশালী মুজিবুর রহমান দাবি করায় দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পরবর্তীতে ঐ জমি নিয়ে জজ আদালতে মামলা হলে আদালত ভিক্ষুক আব্দুল জলিলের পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন।

আদালতের আদেশ অমান্য করে সোমবার (৯ মে) সকালে প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমান তার সহযোগীদের নিয়ে আব্দুল জলিলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল জলিল (৬৫), তার স্ত্রী লাইলী বেগম, বড় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, মেজো ছেলে ওয়ায়েজ করোনি, ছোট ছেলে হামদাদুল হকসহ পরিবারের অন্য সদস্য জসিম মিয়া আহত হন। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

হামলার পর উল্টো মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে চিকিৎসাধীন ৪ জনসহ ১৫ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন ভিক্ষুক আব্দুল জলিলসহ ৪ জনকে হাসপাতালের বেডে শারীরিক নির্যাতন ও গ্রেফতার করে নিয়ে যায় সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

পুলিশ সুপার মো. নাছির উদ্দীন আহমেদ জানান, এ ঘটনায় ৪ এইআইকে বরখাস্ত ও ২ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মীর রকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।