যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট
যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট

৩ শর্তে জামিন পেলেন সম্রাট, মুক্তিতে বাধা নেই

অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারের মামলার পর এবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় এ জামিন মঞ্জুরের ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আজ বুধবার (১১ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তিন শর্তে সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

শর্তসমূহ হলো- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করা যাবে না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতের ধার্য করা আগামী তারিখে জমা দিতে হবে।

এদিন মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। একইসঙ্গে তার জামিন আবেদনও করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন।

আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল একই আদালত এ মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন।

গত ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন। তার আগে, ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ক্যাসিনো কাণ্ডে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন।