জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কেকের মৃত্যু: মামলা করল পুলিশ
কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে

কেকে’র মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

বলিউডের জনপ্রিয় প্লে-ব্যাক শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে’র মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে এই শিল্পীর মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়েছে। আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এই মামলার আবেদন জানিয়েছেন৷

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইনজীবী রবিশঙ্কর একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছেন আদালতের কাছে। এতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

আবেদনকারী আইনজীবীর বক্তব্য, কেকে কলকাতায় এসে অনুষ্ঠান করেন, অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁর মৃত্যু হয়। এই গোটা ঘটনায়, বিশেষত কেকে-র মৃত্যুর জন্য কে বা কারা দায়ী তার একটা বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।

তাঁর মতে, এর জন্য সিবিআই একমাত্র উপযুক্ত সংস্থা যারা কাজটি করতে পারবে। এই দাবিতেই মামলা করতে চেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া।

এই আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন যে নজরুল মঞ্চের মতো একটা জায়গায় কীভাবে দর্শকাসনের থেকে এত গুণ বেশি দর্শক এসে ঢুকলেন! নিরাপত্তারক্ষীরা কী করছিলেন তাঁরাই বা কী করছিলেন। মূলত এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কীভাবে তৈরি হল সেই প্রশ্ন তুলেছেন।

এছাড়া নজরুল মঞ্চ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকা থানাগুলোর পুলিশ আধিকারিকেরা কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সেই সময়, এই প্রশ্নও তুলেছেন ওই মামলাকারী আইনজীবী।

সেই সাথে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আদৌ তা কেকে-র মৃত্যুর জন্য দায়ী কি না, সেটা খুঁজে বের করার জন্য একমাত্র উপযুক্ত সংস্থা সিবিআই বলে দাবি তাঁর।

ঠিক কী ঘটেছিল নজরুল মঞ্চে?‌ বলা হয়, কেকের কনসার্ট দেখতে নজরুল মঞ্চে নির্ধারিত মানুষের চেয়ে অনেক বেশি দর্শক-শ্রোতা জমায়েত হয়। বেশি ভিড়ের জন্য দমবন্ধ একটা পরিবেশ তৈরি হয় এবং কেকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

কিন্তু কলকাতা পুলিশ বলছে, ‘‌নজরুল মঞ্চে বেশি মানুষ ছিল- একথা ঠিক। তবে দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো যে পরিবেশের কথা বলা হচ্ছে, তা সমর্থনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো দর্শক-শ্রোতা অস্বস্তির কথা জানাননি।’

উল্লেখ্য, গত ৩১ মে কলকাতার নজরুল মঞ্চ অডিটোরিয়ামে সন্ধ্যার কনসার্টের পর ৫৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কেকের।