গ্রেফতার (ছবি - প্রতীকী)
গ্রেফতার (ছবি - প্রতীকী)

মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর টুইট, বিজেপি নেতা গ্রেপ্তার

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর টুইট করায় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের সহিংসতার চার দিন পর গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুন) হর্ষিত শ্রীবাস্তব নামের এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হর্ষিত বিজেপির যুব শাখার পদধারী নেতা। পুলিশ জানিয়েছে, টুইটারে আপত্তিকর পোস্ট দিয়ে তিনি পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছিলেন। অবশ্য পরে এই নেতার টুইট মুছে দেওয়া হয়েছে।

কানপুর পুলিশ কমিশনার বিজয় মিনা বলেছেন, ‘কেউ ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে খেলার চেষ্টার করলে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

জ্ঞানবাপি মসজিদ নিয়ে টেলিভিশন বিতর্কে মহানবীকে নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা অবমাননাকর বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল ছোড়ার একপর্যায়ে কানপুরের কিছু এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের লোকজন সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে দোকানপাট বন্ধ রাখতে বললে একপক্ষের বিরোধিতায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

মহানবীকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর অবমাননাকর বক্তব্যে ভারতীয় মুসলিমদের পাশাপাশি আরব ও মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ ইতিমধ্যে ভারতের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। কুয়েতের একটি সুপার মার্কেট ভারতীয় পণ্য সরিয়ে ফেলেছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপি গত রোববার দলের জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর টুইট করায় দলের দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার করা হয়। অবশ্য পরে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন নূপুর শর্মা। আর টুইট মুছে ফেলেন জিন্দাল।

কানপুরের সহিংসতায় জড়িত ৪০ সন্দেহভাজনের ছবি গত সোমবার প্রকাশ করে কানপুর পুলিশ। সিসিটিভি ও মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও পর্যালোচনা করে পুলিশ অভিযুক্তদের ছবি সংগ্রহ করে বলে জানা গেছে।

এখন পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জাফর হায়াতসহ অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জ্ঞাত-অজ্ঞাত মিলিয়ে দেড় হাজার মানুষকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ওই সহিংসতার ঘটনায় ৪০ জনের বেশি আহত হন।

সূত্র: প্রথম আলো