প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন কি আরও কঠোর হবে?

বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ মোকাবেলার জন্য নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের একটি খসড়া সরকার চূড়ান্ত করেছে।

বুধবার আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে কয়েকজন সংশ্লিস্ট মন্ত্রী মিলে এটি চূড়ান্ত করেছে। এরপর তারা বলছেন- নতুন এ আইন পাশ করে বহুল বিতর্কিত তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বিলুপ্ত হবে।

কিন্তু মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকরা বলছেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ৫৭ ধারার চেয়ে বেশি কঠোর এবং এটি নাগরিকদের বাক স্বাধীনতা আরো সংকুচিত করবে।

তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে গত কয়েকবছর ধরেই প্রবল বিতর্ক ও সমালোচনা হচ্ছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, মানহানি কিংবা রাষ্ট্রের নিরাপত্তাসহ নানা ধরনের ‘অস্পষ্ট’ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।

প্রস্তবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের তৃতীয় খসড়ায় বলা আছে ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করলে শাস্তি পেতে হবে। ইলেট্রনিক মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদালত কর্তৃক মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রচারণা করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সাজার কথা বলা আছে। এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং অশ্লীলতার বিরুদ্ধে শাস্তির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

চূড়ান্ত খসড়ায় এ বিষয়গুলোতে কোন পরিবর্তন এসেছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি কর্মকর্তাদের কাছে থেকে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলছেন, সাইবার অপরাধ মোকাবেলার জন্য সরকার এ ধরনের আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একজন মানুষ যদি কোন মানহানিকর বক্তব্য হাটে-বাজারে মুখে বলে, সেটার যে ইমপ্যাক্ট (প্রভাব) আর যদি ফেসবুকে কোন মিথ্যা-অপপ্রচার লক্ষ-লক্ষ মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়, সেটার প্রভাব অনেক ব্যাপক।”