প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

আজ বুধবার (১৪ মার্চ) বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগসহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। আপিল বিভাগে থেকে বের হয়ে মিছিলসহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন প্রদক্ষিণ করেন তারা।

স্লোগান তারা বলেন, আইনজীবীদের দাবি এক, প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ’ ‘এক দফা এক দাবি প্রধান বিচারপতি কবে যাবি’ ‘খালেদা জিয়া জেলে কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই’।

এর আগে বুধবার সকাল সোয়া ৯টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির সমন্বয়ে আপিল বিভাগের বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করে রোববার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।

শুনানির শুরুতে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান হাইকোর্টের আদেশের সার্টিফাইড কপি পাওয়া যায়নি বলে সময়ের আবেদন করেন। আর প্রধান বিচারপতি রবিবার পর্যন্ত সময় দেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য শোনার জন্য চাপাচাপি করতে থাকেন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন, রবিবার বক্তব্য শুনবেন।

এরপরও বেশ কয়েকজন আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। আর খালেদা জিয়ার আইনজীবী গিয়াসউদ্দিন আহমদের বক্তব্যে বিরক্ত হয়ে এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি কি আদালতকে থ্রেট করছেন?’। গিয়াসউদ্দিন তার বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘থ্রেট দেবেন না।’

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদিন বলেন, তাদের বক্তব্য না শুনে আদেশ দিলে ‘পাবলিক পারসেপশন’ ভালো হবে না। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা পাবলিক পারসেপশনের দিকে তাকাই না। কোর্টকে কোর্টের মত চলতে দিন।’ এক পর্যায়ে আদালত কক্ষ থেকে ‘লজ্জা লজ্জা’ বলে বের হয়ে আসেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

সেখান থেকে বের হয়েই প্রধান বিচারপতির পদত্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন আইনজীবীরা।

স্লোগানের মধ্যে ছিল, ‘আইনজীবীদের দাবি এক, প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ’, ‘এক দফা এক দাবি প্রধান বিচারপতি কবে যাবি’, ‘খালেদা জিয়া জেলে কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই’।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া বিচারিক আদালত। ওই দিন থেকেই তাকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।