ব্যারিস্টার খোকনের ওপর হামলার ঘটনায় ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে থানার ওসিকে প্রত্যাহারের করে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সমিতির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি তুলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কিন্তু ইসি তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আপনারা (নির্বাচন কমিশনার) পদত্যাগ করুন। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করে চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আপনারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বলুন আমাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তা না হলে এর দায়-দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তাবে।
অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুবউদ্দিন খোকন আজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। সংবাদপত্রে এসেছে পুলিশের ওসির হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ব্যারিস্টার খোকন। আমি সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানতে চাই এখনও ওই ওসি স্বপদে বহাল থাকে কীভাবে। ইসি কী দায়িত্ব পালন করছে? ব্যারিস্টার খোকন আওয়ামী লীগের হামলা থামাতে বলেছিল। অথচ ওসি নিজেই ব্যারিস্টার খোকনের ওপর গুলিবর্ষণ করে। আর ইসি নির্বাক। এ অবস্থায় আমরা এই ইসির কাছ থেকে নিরপেক্ষতা বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আশা করতে পারি না। ইসিকে বারবার বলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বলছি, দায়িত্ব পালন না করতে পারলে পদত্যাগ করুন। জয়নুল আবেদীন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর হামলাকারী ওসিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্লোজ করে এবং তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সহ-সভাপতি ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সদস্য মাহফুজ বিন ইউসুফ, মো. আহসান উল্লাহ ও মেহেদী হাসান।
এতে সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া, আইনজীবী মনির হোসেন, আবেদ রাজা, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, আবদুস সালাম খান, মির্জা আল মাহমুদসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।